দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ ডায়মন্ড হারবারে আক্রান্ত বিজেপি প্রার্থী দীপক হালদার। গুরুতর আহত অবস্থায় ভর্তি হাসপাতালে। অভিযোগ, হরিদেবপুর এলাকায় প্রচার চালানোর সময় আচকা কিছু লোক তাঁর উপর হামলা করে। বেধড়ক মারধর করা হয় তাঁকে। ঘটনায় উত্তপ্ত এলাকা।
বর্তমানে ডায়মন্ড হারবার মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি এই বিজেপি প্রার্থী। বিজেপি-র অভিযোগ, শুক্রবার সকালে ২ নম্বর ব্লকের হরিদেবপুর এলাকায় প্রচার চালাচ্ছিলেন প্রার্থী দীপক হালদার। সেই সময় আচমকা তাঁর উপর হামলা ঘটে। হামলাকারীদের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন বিজেপি কর্মীরাও। ঘটনায় আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মীও। পুরো ঘটনায় তৃণমূলের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছে বিজেপি। কিন্তু এই যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। ঘাসফুল শিবিরের দাবি, দীপক হালদার তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি -তে যোগদান করেছিলেন। তাই তাঁকে প্রার্থী হিসেবে মানতে পারেনি দলেরই একটি বড় অংশ। এই বিক্ষুব্ধ অংশই হামলা করে তাঁর উপর। এর সঙ্গে তৃণমূল কোনওভাবেই জড়িত নয়। এদিকে, ঘটনায় বুকে গুরুতর চোট পেয়েছেন এই প্রার্থী। আপাতত চিকিৎসারত তিনি।
তবে তৃণমূলের পাল্টা দাবি, দীপক হালদার তাদের দলের বিধায়ক ছিলেন। পরে বিজেপিতে যোগ দেন। তাই প্রার্থী হিসেবে তাঁকে মানতে পারছেন না বিজেপির একটা বড় অংশ। দলের কোন্দলেই বিজেপি প্রার্থীর উপর হামলা হয়েছে। এই ঘ়়টনার সঙ্গে তৃণমূল কোনওভাবেই জড়িত নয়।এদিকে প্রার্থীর উপর হামলার এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই তেতে ওঠে গোটা এলাকা। শুরু হয় রাস্তা অবরোধ।
ডায়মন্ডহারবারে ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। আগুন জ্বালিয়ে শুরু হয় বিক্ষোভ।
৬ এপ্রিল রাজ্যে তৃতীয় দফার ভোট। এদিনই ভোট নেওয়া হবে ডায়মন্ডহারবার কেন্দ্রে। শেষবেলায় প্রচারে ঝড় তুলেছে সব রাজনৈতিক দল। তার মাঝেই বিজেপি প্রার্থীর উপর হামলার ঘটনা ঘটল। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ডায়মন্ডহারবার লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ। তাঁর খাসতালুক হিসেবেই পরিচিত এই কেন্দ্র। সেখানে ভোটের মুখে বিজেপি প্রার্থীর উপর হামলার ঘটনায় আলোড়ন পড়েছে গোটা এলাকায়।
প্রসঙ্গত, বিধানসভা নির্বাচন ঘিরে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। এবার বাংলায় আট দফায় ভোট। একুশের লড়াইয়ে বাংলার কুর্সি কার হাতে থাকবে? এর উত্তর মিলবে আগামী ২ মে। ওই দিনই ভোটের ফল ঘোষণা। পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনে এবার হিংসা রুখতে তৎপর হয়েছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনের মুখে পুলিশ-প্রশাসনে একঝাঁক বদল করা হয়েছে। ভোটের দিন ঘোষণার আগেই এবার রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে এসে পৌঁছয় কেন্দ্রীয় বাহিনী। হিংসা রুখে সুষ্ঠু ও অবাধ ভোট করা এবার কমিশনের কাছে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ।
সেই সঙ্গে করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে সুরক্ষাবিধির দিকেও জোর দেওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে, এবারের ভোটে অন্যতম ব্যাটলফিল্ড নন্দীগ্রাম। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বনাম শুভেন্দু অধিকারী দ্বৈরথের দিকে নজর রয়েছে রাজনৈতিক মহলের। ভোটের আবহে শাসক-বিরোধী চাপান-উতোরে তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা। সবমিলিয়ে ভোটের টান টান উত্তেজনাপূর্ণ মেজাজে ফুটছে গোটা বাংলা।