দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ কংগ্রেস এবং সিপিএম দুটি দলের শেকড় শুকিয়ে গেছে। অন্ধ সিপিএমের ঘাড়ে ভর করে চলার চেষ্টা করছে খোঁড়া কংগ্রেস। সিপিএম এবং কংগ্রেস সম্পর্কে এমনই তীর্যক মন্তব্য করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
শুক্রবার গোপালনগর হাই স্কুল মাঠে দলীয় সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছে কংগ্রেস, সিপিএম এবং তৃণমূল। তাই মানুষ এদের সবাইকেই ত্যাগ করেছে। ২০২১ এর মে মাসের পরে তৃণমূলের কর্মী এবং তাদের অফিস এরাজ্যে খুঁজে পাওয়া যাবে না। জনগনের টাকা আত্মসাৎ করে কেনা স্করপিও অকসান করে দেবো আমরা। নেতাদের আলিপুর এবং ভুবনেশ্বরের জেলে পাঠাবো।
আলুর দাম বৃদ্ধির জন্য রাজ্য সরকারকে দায়ী করে দিলীপ বলেন, তৃণমূলের নেতাকর্মীরা আলুর বন্ড কিনে তা চড়া দামে বিক্রি করে দলের নির্বাচনী তহবিল মোটা করছে। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যের পুলিশ দিয়ে নির্বাচন করা হবে না। কেন্দ্রীয় বাহিনী ভোট করবে। দূরে দাঁড়িয়ে থাকবে রাজ্য পুলিশ। তিনি বলেন, রাজ্যে ক্ষমতার বদল হওয়ার পাশাপাশি বদলাও নেওয়া হবে।
যেসব পুলিশ অফিসারেরা আমাদের কর্মীদের এখন মিথ্যা মামলায় ফাঁসাচ্ছেন, মে মাসের পরে তাদের সুদ সহ সব হিসেব ফেরত দেওয়া হবে। তাদেরকে দূরে দূরে বদলি করে দেওয়া হবে। উদ্বাস্তু নাগরিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, মোদী সরকার সিএএ বিল পাশ করিয়েছে। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন পাশ করানো হয়েছে। যাতে উদ্বাস্তুরা নাগরিকের স্বীকৃতি পান। এক দেশ এক নির্বাচন বাস্তবায়িত হবে বলেও জানান তিনি। এদিনের সভায় দলের সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের অনুপস্থিতি অস্বস্থিতে ফেলেছে দলকে।তবে এদিন মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বনগাঁ উত্তর এর বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস, বারাসত জেলার পর্যবেক্ষক রীতেশ তেওয়ারী, বারাসত জেলা সাংগঠনিক সভাপতি শঙ্কর চ্যাটার্জী,সহ সভাপতি দেবদাস মন্ডল এবং যুব মোর্চার সদস্য রাজীব রায় সহ কর্মী সমর্থকরা ৷