দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ লকডাউনের মেয়াদ শেষে হবে ৩ মে। তারপর কী হবে? কোথায় কী কৌশলে কী ধরনের কাজকর্ম চালু হবে, অভ্যন্তরীণ বিমান পরিষেবা চালু হবে কিনা এব্যাপারে কৌশল ঠিক করতেই শুক্রবার গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল এবং অসামরিক বিমান পরিবহণমন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী। ছিলেন ক্যাবিনেট সচিব রাজীব গৌবাও।
গতকাল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র ও স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রুটিন সাংবাদিক বৈঠকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, ৩ মে-র পর কি লকডাউন উঠছে? তার কোনও স্পষ্ট জবাব দেয়নি কেন্দ্র। কাল বাদে পরশু লকডাউনের মেয়াদ শেষ। তাই লকডাউন পরবর্তী পরিস্থিতির কৌশল ঠিক করতে এখন যুদ্ধকালীন তৎপরতা চলছে।
লকডাউন শুরু হয়ছে ২৫ মার্চ থেকে। প্রথম দফার লকডাউন চলে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত। ওইদিন সকালেই জাতির উদ্দেশে বক্তৃতা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দ্বিতীয় দফার লকডাউন ঘোষণা করেন।
যদিও ২০ এপ্রিল থেকে শর্তসাপেক্ষে কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছে। আগামী সোমবার থেকে আরও কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে সরকার। যদিও সরকারের তরফে ইঙ্গিত দিয়ে বলা হয়েছে রেড জোনের জেলা বা কন্টেইনমেন্ট জোনে কঠোর ভাবে বিধিনিষেধ জারি থাকবে।
এদিন কেন্দ্রের তরফে পরিসংখ্যান দিয়ে বলা হয়েছে গত ১৫ দিনে রেড জোনের জেলার সংখ্যা ২৩ শতাংশ কমেছে। ১৫ এপ্রিল রেড জোনে ছিল দেশের ১৭০টি জেলা। ৩০ এপ্রিল তা কমে হয়েছে ১৩০। অন্যদিকে গ্রিন জোনের সংখ্যাও কমেছে। অর্থাৎ যে জেলায় সংক্রমণ ছিল না সেখানে.সংক্রামিতের খোঁজ মিলেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলাতেই দুই জেলা আলিপুরদুয়ার এবং বীরভূমে প্রথম করোনা পজিটিভ মিলেছে। তবে ৩ মে-র পর কী পদক্ষেপ নেয় কেন্দ্রীয় সরকার গোটা দেশের নজর এখন সেদিকেই।