২৮ দিন পরে ছুটি হল হাসপাতাল থেকে,বাড়ি ফিরলেন লতা মঙ্গেশকর

0
512

দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ ২৮ দিন পর হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরলেন লতা মঙ্গেশকর। রবিবার বিকেলে নিজেই টুইট করে একথা জানিয়েছেন সুর সম্রাজ্ঞী। টুইট করে লতা লিখেছেন, মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে নিউমোনিয়ার চিকিৎসা চলছিল তাঁর।

আপাতত ভালোই রয়েছেন লতা মঙ্গেশকর। যে চিকিৎসকদের দায়িত্বে তিনি ছিলেন সকলকেই ধন্যবাদ জানিয়েছেন লতা। পাশাপাশি নিজের অসংখ্য ভক্তকেও ধন্যবাদ জানাতে ভোলেননি তিনি। লতা বলেন, চিকিৎসকরা চেয়েছিলেন যাতে একদম সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরি আমি।

তাই ২৮ দিন হাসপাতালে কাটিয়ে বাড়ি ফিরেছি। সব ডাক্তার এবং নার্সরা ভীষণ যত্নের সঙ্গে খেয়াল রেখেছিলেন আমার। যাঁরা আমার আরোগ্য কামনা করেছেন তাঁদের সকলকে ধন্যবাদ। আপনাদের আশীর্বাদেই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছি।
গত ১১ নভেম্বর আচমকাই জানা গিয়েছিল মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন সুরসম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকর। শোনা গিয়েছিল, অবস্থা বেশ গুরুতর তাঁর। রাখা হয়েছে আইসিইউতে। ভেন্টিলেশনে রয়েছেন সুরসম্রাজ্ঞী এমন খবরও রটে গিয়েছিল নিমেষে। তবে পরে হাসপাতাল সূত্রে জানা যায় শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার জন্যই ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় লতা মঙ্গেশকরকে।

ঘটনা এখানেই শেষ নয়। লতা মঙ্গেশকরের হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়া নিয়েও শুরু হয় জল্পনা। সংবাদ সংস্থা এএনআই সেসময় দাবি করেছিল যে ১১ নভেম্বর বিকেলেই হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে লতা মঙ্গেশকরকে। তবে পরিবারের তরফে তখন জানানো হয় সেসময় হাসপাতালেই ছিলেন তিনি। লতা মঙ্গেশকর আদৌ হাসপাতালে আছেন নাকি তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে তা নিয়ে ওই সময় কোনও মন্তব্য করেনি ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

কিছুদিন আগেও পিটিআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে লতা মঙ্গেশকরের ভাইঝি রচনা শাহ বলেন, “উনি ভাল আছেন। আমরা খুব খুশি।” সেসময় রচনাকে প্রশ্ন করা হয় কবে হাসপাতালে ছাড়া হবে লতা মঙ্গেশকরকে। জবাবে রচনা বলেন, “ওঁকে কবে হাসপাতাল থেকে ছাড়া হবে সেটা এখন আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়। ওঁর শরীর কেমন থাকছে সেই ব্যাপারেই নজর রয়েছে আমাদের।”

অবশেষে ৮ ডিসেম্বর বাড়ি ফিরলেন লতা মঙ্গেশকর।

Previous articleসোমবার থেকে রেশন দোকানে ৫৯ টাকায় মিলবে ১ কেজি পেঁয়াজ, সিদ্ধান্ত রাজ্যের
Next articleদিল্লিতে জ্বলন্ত কারখানায় ঢুকে পড়লেন একাই,উদ্ধার করলেন ১১ জনকে!সবার নজরে রাজেশ শুক্লা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here