দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ আগামী ২ জানুয়ারি থেকে গোটা দেশজুড়ে শুরু হবে করোনা টিকার ‘ড্রাই রান’। ইতিমধ্যেই অসম, অন্ধ্রপ্রদেশ পঞ্জাব এবং গুজরাটে টিকার ‘ড্রাই রান’ চালানো হয়েছে। টিকা ব্যবহারের ছাড়পত্র মেলার পর টিকাকরন প্রক্রিয়ায় যাতে বিলম্ব না হয়, তার জন্য এই ট্রায়াল–রান চালানো হবে প্রত্যেকটি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে।
প্রত্যন্ত অঞ্চলে টিকা নিয়ে যাওয়া হবে, খতিয়ে দেখে নেওয়া হবে, তা ঠিক আছে কি না। মানুষের শরীরেও প্রয়োগ করা হবে, তারপর দেখে নেওয়া হবে, কোনও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিচ্ছে কি না, ইত্যাদি। টিকাকরণ প্রক্রিয়ায় কোনও ভুলভ্রান্তি থাকছে কি না, তা চিহ্নিত করতে এই ‘ড্রাই রান’ চালানো হবে।
গুজরাটে ‘ড্রাই রান’ চালানোর জন্য গান্ধীনগর এবং রাজকোট জেলার ১৯টি কেন্দ্র বেছে নেওয়া হয়েছে। পঞ্জাবের লুধিয়ানা এবং শহীদ ভগৎ সিং নগরে ‘ড্রাই রান’ চলেছে। অসমের নলবাড়ি এবং সোনিতপুর জেলায় মক ড্রিলিং চালানো হয়েছে। অন্ধপ্রদেশের কৃষ্ণা জেলাকে ড্রাই রানের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছিল।
গত মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানায়, চার রাজ্যে দু’দিনের যে মক ড্রিল করা হয়েছে তার সাফল্য প্রমাণ করছে যে ভারত টিকাকরণ শুরু করার জন্য তৈরি। একটি বিবৃতি দিয়ে বলা হয়, “কোভিড ১৯ টিকাকরণ কীভাবে হবে সেই পদ্ধতির জন্য করা মক ড্রিলে অংশ নেওয়া চার রাজ্যই সন্তুষ্ট।”
এদিনই দেশের ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল ডক্টর ভি জি সোমানি জানিয়েছেন, “আমরা আশা করছি নতুন বছরে টিকাকরণ শুরু হবে।” তাই এই মুহূর্তে সব রকমের প্রস্তুতি সেরে রাখতে চাইছে কেন্দ্র। এরমধ্যেই কোভিড টিকার জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের অনুমতি নিয়ে আগামীকাল বৈঠক করবে বিশেষজ্ঞ কমিটি। সেখানে সেরাম ইন্সটিটিউট, ভারত বায়োটেক ও ফাইজারের আবেদন নিয়ে আলোচনা হবে।
এখনও পর্যন্ত যা খবর, তাতে ভারতে প্রথম টিকাকরণের অনুমতি পেতে পারে সেরাম ইন্সটিটিউট। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও আস্ট্রজেনেকার সঙ্গে মিলে ‘কোভিশিল্ড’ টিকা তৈরি করেছে তারা। এখনও অবধি ড্রাগ কন্ট্রোল জেনারেলের কাছে নিজেদের তথ্য জমা দেয়নি ফাইজার। অন্যদিকে ভারত বায়োটেকের ‘কোভ্যাক্সিন’ টিকার এখনও তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল শেষ হয়নি। তাই এই মুহূর্তে এই দুই টিকার অনুমতি পাওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।