দেশের সময় ওয়েব ডেস্কঃ নিজের অফিসেই হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন সঙ্গীতশিল্পী প্রতীক চৌধুরী। দ্রুত তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। বয়স হয়েছিল ৫৫ বছর। প্রতীক চৌধুরীর আকস্মিক মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে সঙ্গীত জগতে।
মুরলী ধর সেন স্ট্রিটে বিজেপি’র রাজ্য দফতরের পাশেই রয়েছে প্রতীক চৌধুরীর পারিবারিক ব্যবসার অফিস। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সেখানেই আচমকা হৃদরোগে আক্রান্ত হন তিনি। পড়েও যান অফিসের সামনে। সহকারীরাই দ্রুত তাঁকে সল্টলেকের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। তাঁদের অনুমান, অফিস থেকে হাসপাতালে আনার সময় রাস্তাতেই মৃত্যু হয়েছে প্রতীক চৌধুরীর।
সিনেমার প্লেব্যাক কিংবা জিঙ্গলস ছাড়াও সঙ্গীতজগত প্রতীক চৌধুরীকে মনে রাখবে রাহুল দেব বর্মনের গানের জন্য। নব্বইয়ের দশক থেকেই বাংলা গানের জগতে লেগেছিল রিমেকের ছোঁয়া। আর সেই সময়ে প্রতীক চৌধুরীর কণ্ঠে রাহুল দেব বর্মনের গান শুনতে পছন্দ করেছিলেন শ্রোতারা। ২০১৮ সালেই রিলিজ হয় প্রতীকের অ্যালবাম ‘প্রাণের ঠাকুর’। দর্শক মহলে প্রচুর প্রশংসাও পেয়েছিল গায়কের রবীন্দ্রসঙ্গীতের অ্যালবাম ‘প্রাণের ঠাকুর’। প্রতীক চৌধুরীর আরও একটি বিখ্যাত অ্যালবাম ‘মন বাঁওরা’। ২০০২ সালে পাতালঘর ছবিতেও প্লেব্যাক করেছিলেন এই সঙ্গীতশিল্পী।
কিছুদিন আগেই অনিকেত চট্টোপাধ্যায়ের পরিচালনায় ‘দেব এন্টারটেনমেন্ট ভেঞ্চার্স’ প্রযোজিত দেবের আগামী বাংলা ছবি ‘হবচন্দ্র রাজার গবুচন্দ্র মন্ত্রী’-র জন্য গান রেকর্ড করেছিলেন প্রতীক। তবে কেবল ছবির গান নয় জঙ্গলস-এর জন্যেও বিখ্যাত ছিলেন প্রতীক চৌধুরী। বহু নামী ব্র্যান্ডের বিজ্ঞাপনী গান গেয়েছিলেন তিনি। তাঁর গাওয়া রবীন্দ্রসঙ্গীতও জনপ্রিয় ছিল শ্রোতা মহলে।