দেশের সময়ওয়েবডেস্কঃ দরিদ্র পরিবারকে সমাজের মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে হাবড়া এলাকার দরিদ্র পরিবারের পড়ুয়াদের পড়াশোনার জন্য অর্থ সাহায্য করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এলাকার বিধায়ক তথা খাদ্য মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। বৃহস্পতিবার ‘হাবড়া পৌর উৎসব ২০২০’ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন তিনি। এদিনের অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক চৈতালী চক্রবর্তী–সহ জেলা পুলিশের কর্তারা।
এদিন সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, ‘৮ বছর পর বাড়ি ফিরেছেন মজিদ মাস্টার। আমরা চাই তিনি তাঁর বাড়িতে, নিজের এলাকায় নিজের মতো করে থাকুন। আমাদের লোকেরা তাঁকে এলাকা থেকে বের করে দেবে না। তবে নিজের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ থেকে নিজেকে মুক্ত করতে আদালতে তাঁকে প্রমাণ করতে হবে যে তিনি নির্দোষ। না হলে নিজের কৃতকর্মের জন্য শেষ জীবনে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করতে হবে তাঁকে। তাঁর মাথার চুল থেকে পায়ের নখ পর্যন্ত রক্তের দাগ লেগে রয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘দিলীপ ঘোষের দ্বিতীয় সংস্করণ অর্জুন সিং। দু’জনই পাগলাগারদ থেকে পালিয়ে বাইরে এসে উল্টোপাল্টা কথা বলছে। পাগলাগারদই তাঁদের জন্য উপযুক্ত জায়গা।
ভয় দেখিয়ে জোর করে দখল করে নেওয়া জেলার ৬টি পুরসভা আমরা আবার ফিরে পেয়েছি। এটা মনে রাখতে হবে। বুঝতে হবে মানুষ আমাদের পাশে আছে।’
হাবড়া পুরসভার উদ্যোগে হাবড়া অ্যাথলেটিক ক্লাবের মাঠে এদিন থেকে শুরু হল পৌর উৎসব। মেলায় ফুল, মাছ, পাখি, চারুকলা ইত্যাদির প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। প্রদীপ জ্বালিয়ে, সাদা পায়রা উড়িয়ে মেলার উদ্বোধন করেন খাদ্যমন্ত্রী। তার আগে নেতাজির ছবিতে শ্রদ্ধা জানান তিনি। এদিনের অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে তিনি ঘোষণা করেন, উৎসব উপলক্ষে প্রতিদিন এক হাজারের বেশি দরিদ্র মানুষকে কম্বল দান করা হবে। একইসঙ্গে দরিদ্র ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনার জন্য অর্থ সাহায্যের পাশাপাশি নিজ নিজ ক্ষেত্রে এলাকার গুণী মানুষদের সংবর্ধনা জানানো হবে।
মৃতদেহ বহনের জন্য এদিন উৎসব প্রাঙ্গণ থেকে ২টি শববাহী গাড়িরও উদ্বোধন হয়। আগামী দিনে অস্ত্রোপচারের সুবিধাযুক্ত ২টি অত্যাধুনিক অ্যাম্বুল্যান্স এবং পুরসভার ২৪টি ওয়ার্ডের জন্য ২৪টি ময়লা ফেলার হাইড্রোলিক গাড়ি দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করেন তিনি।