দেশের সময় ওয়েব ডেস্কঃ

শিলিগুড়ির সভার পর ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডেও উপস্থিত কর্মী-সমর্থকদের প্রথমে বাংলায় সম্ভাষণ করেন মোদী।

  • ২৩ মে কেমন ফল হবে, তা বঙ্গভূমিতে ওঠা এই জনপ্লাবন থেকেই আন্দাজ করা যাবে ব্রিগেড মাঠে এর আগে এত বেশি ভিড় আমি দেখিনি। আপনারা যে ভালোবাসা দিচ্ছেন, তা আমি সুদ সমেত ফেরত দেব।
  • গোটা বাংলা থেকে এত ভালোবাসা আমি পেয়েছি, তার জন্যই আজ রিপোর্ট কার্ড নিয়ে আমি হাজির হয়েছি। সার্জিক্যাল স্ট্রাইক, এয়ার স্ট্রাইক, মহাকাশে স্ট্রাইক, এ সবের জন্য আজ গোটা বিশ্বে ভারতকে এক অন্য চোখে দেখা হচ্ছে। সব জায়গায় ভারতের জয়জয়কার হচ্ছে। আর এ সব মোদী করেনি, এ সব আপনাদের জন্য সম্ভব হয়েছে।
  • এয়ার স্ট্রাইকের উপর কে সন্দেহ প্রকাশ করেছে, জঙ্গিদের লাশের সংখ্যা গুনতে কে বলেছে? সুপুত্রদের ( সেনাদের ) কাছ থেকে প্রমাণ চাওয়ার পাপ কে করেছে? আগের সরকারের এই হিম্মত ছিল না।
  • দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সব নেতাদের ডেকে এনে ব্রিগেডে সভা করেছিলেন মমতা। সবাইকে আনা হয়েছিল মোদীকে গালাগাল দিতে, মোদী হঠাও বলতে। মোদী কী দোষ করেছে, যে তাঁকে সরাবেন। যদি সবাইকে চিকিৎসার সুবিধা দেওয়া অন্যায় হয়, কৃষকদের সুবিধা করা অন্যায় হয়, গরিবদের ঘর-গ্যাসের সুবিধা দেওয়া অন্যায় হয়, তাহলে আমি দোষী।
  • ৫ বছর আগে কেউ ভেবেছিলেন, ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়করে ছাড় পাওয়া যাবে? কেউ ভেবেছিলেন উচ্চবর্ণের গরিবদের জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণ করা সম্ভব হবে? কিন্তু সব হয়েছে। কারণ এই সরকার অসম্ভবকে সম্ভব করতে পারে। ৫ বছর আগে কেউ ভেবেছিলেন, নিজেদের ভারতের ভাগ্যবিধাতা মনে করা পরিবারের দূর্নীতির হিসেব হবে? আজ ওই পরিবারের ( পড়ুন গান্ধী পরিবার ) সবাই জামানতে মুক্ত আছে। বাংলার মানুষ ঠিক করে নিয়েছেন। এখন আর বাংলায় গুন্ডাগিরি, তোলাবাজি হবে না।
  • ২০১৪ সালে আপনাদের ভোটের জন্যই আমরা দেশের উন্নতি করতে পেরেছি। ২০১৯ সালে আপনাদের ভোটে বিকাশের নতুন দিগন্ত খুলে যাবে। ২০১৪ সালে আপনাদের ভোটের জন্য সন্ত্রাসবাদকে জবাব দেওয়া সম্ভব হয়েছে। ২০১৯-এ আপনাদের ভোটের জন্যই সন্ত্রাসবাদকে খতম করা হবে। ২০১৪-এ আপনাদের ভোটের জন্য দূর্নীতিবাজরা জেলের দরজা পর্যন্ত পৌঁছেছে। ২০১৯ সালে আপনাদের ভোটের জন্য ওই দূর্নীতিবাজদের জেলের ভিতরে ঢোকানো হবে।
    • ৫৫ বছরের পরিবারতন্ত্রে দেশের কোনও উন্নতি হয়নি, গরীব মানুষের অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে, জওয়ানদের জন্য কোনও কাজ হয়নি। বাংলাতেও আজ পরিবারতন্ত্র চলছে। এই পরিবারতন্ত্র থেকে বাংলাকে বের করে আনতে হবে। সাধারণ মানুষের স্বপ্নকে পূরণ করতে হবে। যতদিন না এই স্বপ্ন পূরণ করছি, ততদিন শান্তিতে বসে থাকব না। আসুন, সবাই মিলে সামনের ৫ বছরে দেশের উন্নতি, গরিবদের উন্নতির কাজ করি। তবেই দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামীরা শান্তি পাবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here