দেশের সময় ওয়েবভেস্কঃ আর চুপ করে থাকা নয়। এবার একেবারে মুখের উপর জবাব দিল ভারতীয় সেনা। আর যেমন তেমন জবাব নয়, রীতিমতো মিসাইল ছুড় সীমান্তের ওপারে পাকিস্তানের সেনা বাঙ্কার ভেঙে গুঁড়িয়ে দিল ভারতীয় বাহিনী। বার বার মানা করা সত্ত্বেও সংঘর্ষবিরতি ভাঙার শাস্তি কতটা হতে পারে, আজ দেখিয়ে দিয়েছে ভারত।
হাইলাইটস
- পাক বাংকার ধ্বংসের ভিডিয়ো রিলিজ করল ভারতীয় সেনা
- শুক্রবার প্রত্যাঘাতে পাকিস্তানি বাংকার ছাড়াও জঙ্গি লঞ্চপ্যাড ধ্বংস করা হয়েছে
- পাকিস্তানের সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘনের জবাব দিতে চিনার ক্রপস’ মিসাইল হামলা চালায় ভারত
- ভারতের প্রত্যাঘাতে নিহত দুই এসএসজি কম্যান্ডার-সহ নিহত আট পাকিস্তানি সেনা
সকাল থেকেই নিয়ন্ত্রণরেখায় তাণ্ডব চালাচ্ছে পাক সেনারা। লাগাতার গুলি, মর্টার শেল ছুড়ছে ভারতীয় সেনার ঘাঁটি লক্ষ্য করে। শুধু সেনা চৌকি নয়, নিয়ন্ত্রণরেখা লাগোয়া একাধিক গ্রামে গোলাগুলি ছুড়েছে পাক বাহিনী। দাওয়ার, কেরান, উরি, নওয়াম সেক্টরে পাক গুলিতে রক্ত ঝরেছে ভারতীয় জওয়ানদের। শহিদ হয়েছেন চারজন জওয়ান। তিন গ্রামবাসীর মৃত্যুর খবরও সামনে এসেছে। জম্মুর পুঞ্চেও সংঘর্ষবিরতি ভেঙেছে পাক বাহিনী। সেখানেও সাত গ্রামবাসীর জখম হওয়ার খবর মিলেছে।
এর পরে আর চুপ করে থাকা নয়। গর্জে উঠেছে ভারতীয় বাহিনীর যুদ্ধট্যাঙ্ক বিধ্বংসী মিসাইল। পাক ঘাঁটি লক্ষ্য করে রকেট নিক্ষেপ করেছে ভারতীয় সেনা। সেই সঙ্গেই সেনাবাহিনীর গুলি হয়ে উঠেছে অপ্রতিরোধ্য। ভারতের শক্তি কতটা হতে পারে দেখিয়ে দিয়েছেন জওয়ানরা।
দেখুন পাকিস্তানি বাংকার ধ্বংসের ভিডিয়ো:
#WATCH | 7-8 Pakistan Army soldiers killed, 10-12 injured in the retaliatory firing by Indian Army in which a large number of Pakistan Army bunkers, fuel dumps, and launch pads have also been destroyed: Indian Army Sources pic.twitter.com/q3xoQ8F4tD
— ANI (@ANI) November 13, 2020
Pakistan bunker destroyed in Karan Sector pic.twitter.com/1E8PSArzeB
— Kartikeya Sharma (@kartikeya_1975) November 13, 2020
সেনাবাহিনীর তরফেই একাধিক ভিডিও সামনে এসেছে। সেখানে দেখা গেছে, নিয়ন্ত্রণরেখার ওপারে পাক ঘাঁটিতে আগুন জ্বলছে। ধোঁয়ায় ভরে গেছে সীমান্ত। একের পর এক মিসাইল ছুড়েছে ভারত। গুঁড়িয়ে দিয়েছে পাক সেনার বাঙ্কার। বান্দিপোরা জেলার গুরেজ সেক্টর ও কুপওয়ারার কেরন সেক্টরেও গুলি ও মর্টার শেল ছুড়েছে ভারতীয় বাহিনী।
ভারতীয় সেনা সূত্র জানিয়েছে, পাক হামলার যোগ্য জবাব দিয়েছে ভারত। সীমান্তের ওপারে একাধিক সেনা বাঙ্কার ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। জঙ্গিদের লঞ্চ প্যাডও গুঁড়িয়ে গেছে। শীতের আগে নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে ভারতে ঢুকবে বলে নিয়ন্ত্রণরেখার কাছেই ঘাঁটি গেড়েছিল পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। সীমান্তে অশান্তি তৈরি করে পাক জঙ্গিদের ভারতে ঢুকিয়ে দেওয়াই উদ্দেশ্য ছিল পাক সেনার। সেই ছক ভেস্তে দেওয়া হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, জঙ্গিদের একাধিক শিবির রকেট হামলায় ভেঙে গুঁড়িয়ে গিয়েছে।
বালাকোটে ভারতীয় বায়ুসেনার হামলার পর থেকেই নিয়ন্ত্রণরেখার ওপার থেকে হামলা আরও জোরদার করেছে পাক সেনা। ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ধারা রদের পর থেকে ভারত-পাক সীমান্তের ছবিটা আরও ভয়ানক হয়ে উঠেছে। জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ) জানাচ্ছে, এ বছর জুন মাস অবধিই দু’হাজারের বেশিবার সংঘর্ষবিরতি ভেঙেছে পাক সেনারা। গত বছর জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত মোট ২৩১৭ বার সংঘর্ষবিরতি ভেঙেছিল পাকিস্তান।
এ বছর জানুয়ারি থেকে অগস্টের মধ্যে অন্তত ২৪২ বার গোলাগুলি চলেছে নিয়ন্ত্রণরেখায়। পয়লা জানুয়ারি থেকে ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট ৩ হাজার ১৮৬ বার সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন করা হয়েছে সীমান্তে। সেনা সূত্র জানাচ্ছে, জঙ্গি অনুপ্রবেশ রোখার জন্য সীমান্তে বিশেষ স্ট্র্যাটেজি নেওয়া হচ্ছে। নিরাপত্তা আরও মজবুত করতে নতুন করে সেনা পরিকাঠামো তৈরি হয়েছে। নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর ৩৪৩.৯ কিলোমিটার সীমান্তজুড়ে সেনার সংখ্যা প্রায় তিনগুণ করা হয়েছে। ভারতীয় বাহিনীর তিনটি ব্যাটেলিয়ন দিবারাত্র সীমান্তে নজর রেখে বসে আছে। সেনাদের হাতেও রয়েছে আধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র। আজই পাকিস্তানকে সেই প্রস্তুতির প্রাথমিক ঝলক দেখিয়ে দিয়েছে ভারত।