দেশের সময়, গাইঘাটা: মোটা টাকা ঘুষ দিয়ে চাকরিতে ঢুকেছিল এক যুবক। সেই টাকা জোগাড় করতে স্ত্রীর উপর চাপ সৃষ্টি করেছিল সে। কিন্তু বাপের বাড়ি থেকে সেই টাকা জোগাড় করে এনে দিতে না পারায় স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজনের হাতে খুন হতে হল অসহায় বধূকে। গাইঘাটা থানার বঙ্কিমপল্লী এলাকার এই মর্মান্তিক ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, ২০১৮ সালের জানুয়ারী মাসে গাইঘাটা থানার দেবীপুরের পায়েলের সঙ্গে বিয়ে হয় কানাই রায়ের। বছর কয়েক আগে চার লক্ষ টাকা ঘুষ দিয়ে ভারতীয় রেলে চাকরী পায় কানাই। বিয়ের কয়েক মাস পর থেকেই চাকরীর ঘুষের টাকা বাপের বাড়ি থেকে স্ত্রীকে আনতে বলে চাপ সৃষ্টি করে সে।
স্বামীর দাবী মতো বাপের বাড়ি থেকে টাকা আনতে না পারায় গৃহবধু পায়েলের ওপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার শুরু করে তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। অবশেষে ১৫ আগস্ট গৃহবধুর শ্বশুরবাড়ি থেকে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মৃত গৃহবধুর শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন ও গলায় ফাঁসের চিহ্ন পাওয়া যায় বলে পুলিশ জানিয়েছে।
মৃত গৃহবধুর বাবার অভিযোগে ঘটনার তদন্তে নেমে শুক্রবার রাতে তিন অভিযুক্ত কানাই রায় , সাবিত্রী রায় ও পম্পা বিশ্বাসকে গ্রেফতার করে পুলিশ | ধৃতদের বিরুদ্ধে বধু নির্যাতন, খুন সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে শনিবার বনগাঁ আদালতে তোলে পুলিশ |