শীতের আমেজ ফিকে, শেষবেলায় পারদ ওঠানামা অব্যাহত

0
497

দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ ভোরের দিকে আর রাতের দিকে শীতের হাল্কা শিরশিরানি ভাব থাকলেও দিনের বাকি সময়ে ঠান্ডা বেমালুম উধাও কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায়। যদিও রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় এখনও খানিকটা ঠান্ডার আমেজ বহাল রয়েছে। আগামী কয়েকদিনে শহর কলকাতার তাপমাত্রা বাড়বে, এমনই পূর্বাভাস আলিপুর আবহাওয়া দফতরের। নতুন করে আর পারদ পতনের সম্ভাবনা নেই বলেই জানিয়েছে হাওয়া অফিস।

এদিকে, শেষবেলায় শহরে পারদ ওঠানামা অব্যাহত। শুক্রবারের তুলনায় শনিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা খানিকটা কমেছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, আজ কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৭.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিক। অন্যদিকে, শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার পারদ ছুঁয়েছে ৩০ ডিগ্রির ঘরে। এদিন কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩০.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে এক ডিগ্রি বেশি। গত ক’দিন ধরেই ঠান্ডার তুলনায় গরমই বেশি অনুভূত হচ্ছে শহর কলকাতায়। ভোরের দিকে হাল্কা কুয়াশা থাকলেও বেলা বাড়লে আকাশ আংশিক মেঘলা থাকবে। আপাতত বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই বলেই জানাচ্ছে আবহাওয়া দফতর।

আজ কলকাতায় আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ সর্বাধিক ৯৯ শতাংশ, ন্যূনতম ৩৫ শতাংশ। একনজরে দেখে নেওয়া যাক এদিন কোথায় কত সর্বনিম্ন তাপমাত্রা? আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, আসানসোলের তাপমাত্রা ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বালুরঘাটের তাপমাত্রা ১৪ ডিগ্রি, বাঁকুড়ায় পারদ ছুঁয়েছে ১৪.৫ ডিগ্রিতে, ব্যারাকপুরে তাপমাত্রা নেমেছে ১৩.৫ ডিগ্রিতে,বহরমপুরে পারদ নেমেছে ১৩.৪ ডিগ্রিতে, বর্ধমানের তাপমাত্রা ছুঁয়েছে ১৬.২ ডিগ্রিতে, ক্যানিংয়ে তাপমাত্রা ১৭ ডিগ্রি, কাঁথির পারদ নেমেছে ১৩ ডিগ্রিতে, কোচবিহারে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০.৭ ডিগ্রি, দার্জিলিং কাঁপছে ৭ ডিগ্রিতে, ডায়মন্ডহারবারে তাপমাত্রা ১৭.৪ ডিগ্রিতে, দিঘায় তাপমাত্রা ছুঁয়েছে ১৭.১ডিগ্রি, দমদমের তাপমাত্রা ১৭.৮ ডিগ্রি, হলদিয়ার তাপমাত্রা ১৭.৫ ডিগ্রি, জলপাইগুড়িতে পারদ ছুঁয়েছে ১২.১ ডিগ্রি, কালিম্পঙে ৭ ডিগ্রি, কৃষ্ণনগরের ১৩.৬ ডিগ্রি, মালদায় ১৬.৫ ডিগ্রি, মেদিনীপুরে তাপমাত্রা ছুঁয়েছে ১৬ ডিগ্রিতে, পানাগড়ে ১১.৬ ডিগ্রি, পুরুলিয়ায় ১২.১ ডিগ্রি, সল্টলেকে ১৮.৮ ডিগ্রি, শিলিগুড়ির তাপমাত্রা ১১.৪ ডিগ্রি, শ্রীনিকেতনে ১৩.১ ডিগ্রি।

উল্লেখ্য, ফেব্রুয়ারির শুরুতেই একেবারে স্বমহিমায় দেখা যায় শীতকে। বিগত ১০ বছরে এটাই ছিল শীতলতম ফেব্রুয়ারি। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা গণেশ কুমার দাস জানিয়েছিলেন, এই পরিস্থিতি বিরল, কিন্তু আগেও এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। এর আগে ২০০৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসেও জমিয়ে শীত উপভোগ করেছিলেন বাংলার মানুষ।

Previous articleশনির প্রভাবে অতিরিক্ত অর্থব্যয় মীনের, বদনাম হবে ধনুর পড়ুন রাশিফল
Next articleমমতার ‘মা’ কিচেন চালু হচ্ছে সোমবার থেকে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here