দেশেরসময় , বনগাঁ: সারাদেশের সঙ্গে শক্তির আরাধনায় মেতে উঠেছে পেট্রাপোল সীমান্তও। এখানকার পেট্রাপোল থানাতে কালী মায়ের পুজো করা হচ্ছে। একই সাথে হরিদাসপুর বিএসএফ ক্যাম্পেও প্রতিবারের মত এবারেও কালী পূজার আয়োজন করা হয়েছ।
বিএসএফ সূত্রে জানা গেছে, কর্মসূত্রে দেশের বিভিন্ন রাজ্যের বিভিন্ন ভাষাভাষী মানুষ সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মী হিসেবে কাজ করলেও প্রত্যেকেই শক্তির আরাধনায় নিজেদেরকে নিয়োজিত করেন। তাই দেশের যেখানেই বিএসএফ ক্যাম্প আছে সেখানেই দীপাবলির উৎসব পালন করা হয়। হরিদাসপুর সীমান্তে এই মুহূর্তে ৬৪ নম্বর ব্যাটেলিয়ান কর্মরত রয়েছে।
এই ক্যাম্পে স্থায়ী কালীমন্দির রয়েছে। প্রতিবছর কালীপুজোর দিন নতুন প্রতিমা এনে পুজোর আয়োজন করা হয়। সেখানে বিভিন্ন ভাষাভাষী জওয়ানেরা নিজেদের মতো করেই শক্তির আরাধনা করেন। বাজি পুড়িয়ে, নাচ-গান করে, মিষ্টিমুখ করে দীপাবলি পালন করেন। এবারেও একইরকমভাবে পুজোর আয়োজন করা হয়েছে।
বনগাঁ শহরে দুর্গাপুজো অনেক বড় মাপের হলেও কালীপুজো সেই আকারে হয়না। তবুও বেশ কয়েকটি পুরনো কালীপুজো রয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম যশোর রোডের ডাকাত কালী। এই পূজোর অন্যতম বিশেষত্ব এই কালী প্রতিমা দেখতে বিশাল আকার। এই পুজো দেখতে দূরদূরান্ত থেকে মানুষ হাজির হন। এবছর এই পুজো ৭৩ তম বর্ষে পা দিল। উদ্যোক্তাদের পক্ষে সুভাষ হালদার জানান, পূজো উপলক্ষে তিন দিন ধরে ভোগ প্রসাদ বিলি করা হয় দর্শনার্থীদের মধ্যে।
এদিন প্রদীপ জ্বালিয়ে পুজোর উদ্বোধন করেন বনগাঁর প্রাক্তন পুরপ্রধান জোৎস্না আঢ্য। বস্ত্র দানের অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন জেলার পুলিশ সুপার তরুণ হালদার। পুজো কমিটির পক্ষ থেকে ৬০০ জন দরিদ্র মানুষের জন্য বস্ত্রদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কালী পুজোর আয়োজন করেছে নিউ মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতি। এবছরও পুজোর পাশাপাশি দরিদ্র মানুষের জন্য বস্ত্র দানের ব্যবস্থা করেছে। একইসঙ্গে সাংস্কৃতিক এবং বিচিত্রা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।