দেশের সময়ওয়েবডেস্কঃচিটফান্ড মামলা নিয়ে সর্বভারতীয় রাজনীতি ফের সরগরম ৷ঠিক তখনই সারদা মামলার অন্যতম অভিযুক্ত সুদীপ্ত সেন,মঙ্গলবার বারাসত আদালত চত্বরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ দিন তিনি বলেন,“লাল ডায়েরি কোথায় আমি জানি না।” চমকে দেওয়ার মতোই দাবি করলেন তিনি!সারদা ব্যবসা যখন মধ্যগগণে তখন সুদীপ্তর ঠাটবাঁট, চলনবলন ছিল অন্যরকম। এখন জেলে থেকে শরীর ভেঙে গিয়েছে। গালে খোঁচা খোঁচা সাদা দাড়ি। মাথা নিচু করে দাঁতে দাঁত চেপে মৃদু স্বরে কথা বলেন এখন।পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের বাড়িতে সিবিআই হানা ও তার পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধর্ণা- এই সবটা মিলিয়ে বাংলা ও গোটা দেশের রাজনীতিতে ডামাডোল চলছে চার দিন ধরে। সারা দেশ নজর রেখেছে পরিস্থিতির উপর। আর এ সবের মাঝেই বারবার ঘুরে ফিরে এসেছে একটি লাল ডায়েরি কথা। গোয়েন্দা সূত্রে বলা হয়েছে, লাল রঙের ওই ডায়েরিতেই সারদা কেলেঙ্কারির নানা তথ্য প্রমাণ লিখিত আছে। তাতে নাকি লিপিবদ্ধ রয়েছে, কাকে কত টাকা দিয়েছিলেন সুদীপ্ত সেন। যে প্রমাণ লোপাটের ব্যাপারে পরে অভিযোগ উঠেছে। এমন পরিস্থিতিতে সারদা কেলেঙ্কারির মাথা সুদীপ্ত সেন মঙ্গলবার এমন দাবি করে বসেন।মঙ্গলবার সারদা মামলার শুনানিতে বারাসতের বিশেষ আদালতে আনা হয় সারদার প্রাক্তন কর্ণধার, অভিযুক্ত সুদীপ্ত সেনকে। সেখানেই আদালত চত্বরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “আমি বারবার বলে এসেছি যে সারদা সম্পর্কিত লাল ডায়েরি বা নথি কোথায় আছে, আমার জানা নেই। এখনও তাই বলছি। তবে আমি অভিযুক্ত, আমার কথা আর কে শুনবে!”অথচ সারদা মামলারই আর এক অভিযুক্ত, সুদীপ্ত সেনের সহকারী দেবযানী মুখোপাধ্যায় বহু আগেই পুলিশি জেরায় স্বীকার করেছিলেন, লাল রঙের একটি ডায়েরিতে সারদা সংক্রান্ত নানা তথ্য লেখা রয়েছে। এই প্রসঙ্গ তুলে সুদীপ্তকে ফের জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, “আমি তো জানি না বললাম। দেবযানী মুখার্জী যখন জানে বলেছে, তখন দেবযানীকেই জিজ্ঞেস করা ভাল।”সুদীপ্ত সেনকে সাংবাদিকরা জিজ্ঞাসা করেন, তিনি কি মনে করেন, সিবিআই কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে জেরা করলে দ্রুত বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে? তারও কোনও জবাব দিতে চাননি সুদীপ্ত সেন। বলেন, আমি কিচ্ছু জানি না। তার এই জবাবের মধ্যেই যেন রহস্য আরও গভীর হচ্ছে বলে মনে করছেন সাধারন মানুষ।