দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ ঝাড়গ্রাম: লালগড়ে বিজেপি সভাপতি জেপি নড্ডার জনসভায় যোগ দিতে যাওয়ার পথে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের উপর হামলার অভিযোগ উঠল। ঝিটকার জঙ্গলের কাছে বিজেপি কর্মী সমর্থক বোঝাই একটি বাসে ভাঙচুর হয় বলে অভিযোগ। বাসে গুলি চালানো হয়েছে বলেও অভিযোগ।
মঙ্গলবার দুপুরে ওই বাসে করে একদল বিজেপি কর্মী-সমর্থক লালগড় যাচ্ছিলেন। ঝিটকার জঙ্গলে ওই বাস লক্ষ্য করে ইট ছোড়া হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। এমনকি জঙ্গলের ভিতর থেকে বাস লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয় বলেও অভিযোগ করেছেন বিজেপির কর্মীরা। তাঁরা বলেন, বাসটির সামনের অংশের কাচ ভেঙে যায়। গুলিও এসে লাগে বাসের গায়ে। তবে বরাতজোরে বেঁচে গিয়েছেন বাসের আরোহীরা।
এদিন লালগড়ে ‘পরিবর্তন যাত্রা’ কর্মসূচি ছিল বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির। সেই সভাতে যোগ দিতেই বাসে করে লালগড়ে যাচ্ছিলেন মেদিনীপুরের এক দল সমর্থক। বিজেপির অভিযোগ, ঝিটকার জঙ্গলের কাছে বাস ইঁট পড়তে শুরু করে। তার জেরে কাঁচ ভেঙে যায়। তখনই তাঁরা বুঝতে পারেন বাসে গুলিও করা হয়েছে। গেরুয়া শিবিরের দাবি, বিজেপির সভা ভণ্ডুল করে দিতেই এই হামলা চালিয়েছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা।
বিজেপির রাজ্য যুব মোর্চার সম্পাদক অনুরণ সেনাপতির অভিযোগ, ঝিটকার জঙ্গলের উত্তর দিক থেকে গাড়ির উপর হামলা চালানো হয়। শুধু পাথর নয়, গুলিও চালানো হয়েছে। জঙ্গলের ভিতর থেকেই কেই গুলি চালিয়েছে। আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে কেউ এই কাজ করেছে। কেউ হতাহত না হলেও এই ঘটনার যথাযথ তদন্তের দাবি জানাচ্ছি আমরা।
বিজেপির করা অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করেছে শাসক দল। ঝাড়গ্রাম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র সুব্রত সাহা বলেন,”আজ বিজেপির সভায় জেলা ও রাজ্যের বাইরে থেকে আসা লোকজন রাস্তায় নেমে তৃণমূলের ফ্ল্যাগ-হোর্ডিং ছিঁড়েছে। এই অসভ্যতা ওদের সংস্কৃতি। নিজেদের নব্য-পুরাতন গোষ্ঠীতে নিজেরাই মারপিট করছে। তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকেরা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। জনগণ সব দেখছেন, সঠিক সময়ে বিজেপিকে তাঁরা জবাব দিয়ে দেবেন।”
এই ঘটনার পর থেকে এলাকায় মোতায়েন রয়েছে পুলিশ। জঙ্গলের ভিতরেও খুঁজে দেখা হচ্ছে। যাতে কোনও অশান্তি না ছড়ায় তা খতিয়ে দেখছে তারা। অবশ্য বিজেপির করা গুলি চালানোর অভিযোগের ব্যাপারে এখনও পুলিশের তরফে কিছু জানানো হয়নি।