দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ রাজ্যে রেশন ব্যবস্থা নিয়ে দুর্নীতি চলছে। এই অভিযোগ লকডাউন শুরুর সময় থেকেই করে আসছে রাজ্য বিজেপি। বারবার সরব হয়েছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এবার সেই অভিযোগেই নিজের বাড়ির সামনে প্রতীকী অবস্থান বিক্ষোভে বসলেন তিনি। রবিবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত এই অবস্থান বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন রাজ্য বিজেপির আরও দুই নেতা। রয়েছেন সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) সুব্রত চট্টোপাধ্যায় এবং সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু।
এদিন দিলীপ বলেন, “মানুষ বিক্ষুব্ধ হয়ে বিভিন্ন জায়গায় রেশন দোকান ঘেরাও করে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। কোথাও তৃণমূল নেতাদের ঘেরাও করে ক্ষোভ দেখাচ্ছেন। এটা দিন দিন বাড়ছে।” দিলীপের দাবি, লকডাউনের মধ্যে মানুষ গৃহবন্দি। অনেকেরই আয় উপার্জন বন্ধ। এই অবস্থায় কোথাও কোথাও কিছু ত্রাণ পৌঁছলেও অনেক জায়গাতেই পৌঁছয়নি। দিলিপের দাবি, “এখনও রাজ্যের রেশন ব্যবস্থা ঠিক নেই। ভোর চারটে সাড়ে চারটে থেকে লাইন দিচ্ছেন মানুষ। রেশন দোকান কখন খুলছে তার ঠিক নেই। অনেক জায়গায় বিকেল পর্যন্ত দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। আর মুখ্যমন্ত্রী মাইক নিয়ে নাটক করছেন।”
বিজেপি রাজ্য সভাপতির দাবি, অনেক জায়গা থেকেই খবর আসছে যে পর্যাপ্ত পরিমাণে রেশনের সামগ্রী দেওয়া হচ্ছে না। বঞ্চিত করা হচ্ছে মানুষকে। দিলীপের দাবি, “রেশন দোকানের সামনে পুলিস পোস্টিং দরকার। সরকারি কর্মচারীদেরও ঘুরে ঘুরে দেখা উচিত।” দিলীপের বক্তব্য, মানুষের ক্ষোভ বাড়তে থাকলে নতুন সমস্যা তৈরি হবে।
তৃণমূলের অনেক পার্টি অফিস এবং ক্লাবে রেশন দোকান থেকে নিয়ে যাওয়া চাল ও অন্যান্য সামগ্রী জমা করা হয়েছে এবং দলের নামে বিলি করা হচ্ছে বলেও শাসক দলের বিরুদ্ধে এদিন অভিযোগ তুলেছেন দিলীপ ঘোষ। একই সঙ্গে তিনি বলেন, বিজেপি নেতা কর্মীদের ত্রাণ কাজে বাধা দিচ্ছে পুলিশ। সবই হচ্ছে নবান্নের নির্দেশে।