দেশের সময় : প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে রাজ্য সরকার জানিয়েছে, ১ অগস্ট থেকে ২০ সেপ্টেম্বর এই ৫০ দিনে রাজ্যে ২০ লক্ষ ২৮ হাজার মিউটেশন সংক্রান্ত সমস্যা সমস্যা সমাধান হয়েছে। গত বছরের তুলনায় তিন গুণেরও বেশি।
ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর যে পরিসংখ্যান দিয়েছে তাতে বলাই যায়, জমি, বাড়ির মিউটেশনের ক্ষেত্রে এই রাজ্যে বিপ্লব ঘটে গিয়েছে হালে।
ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর জানিয়েছে, গত বছর এই সময়সীমায় ৬ লক্ষ ১৩ হাজার সমস্যার সমাধান হয়েছিল। এবারের যা হিসেব তাতে দেখা যাচ্ছে গড়ে প্রতিদিন ৭০-৮০ হাজার সমস্যার সমাধান হয়েছে।
জমি বা বাড়ির ক্ষেত্রে মিউটেশন একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া। অনেক সময়ে দেখা যায় জমি বা বাড়ির রেজিস্ট্রি হয়ে থাকলেও মিউটেশন হয়নি। ফলে বর্তমান মালিককে নানাবিধ সমস্যায় পড়তে হয়। অনেকে এ ব্যাপারে ওয়াকিবহালই থাকেন না।
রাজ্য সরকার জানিয়েছে, ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের ব্লক দফতর ছাড়াও মহকুমা ও জেলা দফতরেও এই সমস্যা সমাধানের কাজ চলেছে। সেইসঙ্গে রয়েছে দুয়ারে সরকারের ক্যাম্প। সেই ক্যাম্পেও বড় অংশের মানুষ মিউটেশন সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানের জন্য হাজির হয়েছিলেন। এবং তাঁর সমাধান করা গিয়েছে বলে দাবি নবান্নের।
উত্তর২৪পরগনার গোপাল নগর হাইস্কুলের পাশেই বাড়ি লিপীকা মৈত্রের ৷তাঁর বাড়ির কাগজপত্র নিয়ে তাঁকেও বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছিল। দেখা গিয়েছিল, সব রয়েছে কিন্তু তাঁর মিউটেশন নেই। এদিন দেশের সময় এর তরফে মৈত্রীদেবীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “এক বছর সময় ধরে আমার চোখে ঘুম ছিলনা। এক ছেলেকে নিয়ে বিড়ি বেঁধে কোন রকমে বেঁচে আছি ৷ বিড়ম্বনা বাড়ায় মিউটেশন না থাকা। একটা সময় মনে হয়েছিল পথে বসতে হবে। জমি দেখিয়ে কোন ব্যাঙ্ক লোন বা কোন কাজ করতে পারছিলাম না” তাঁর কথায়, “রাজ্য সরকার যে উদ্যোগ নিয়েছে মিউটেশনের সমস্যা সমাধান করার তা প্রশংসনীয়। আজ রাতে একটু নিশ্চিন্তে ঘুম হবে৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের মত মানুষের পাশে আছেন তা বুঝতে পারছি৷