দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ গতকাল বিধানসভার শপথ অনুষ্ঠানে তাঁর সঙ্গে সুব্রত বক্সীর সৌজন্য সাক্ষাত্ নিয়ে জল্পনা ছড়িয়েছিল দাবানলের মতো। তারপর বাইরে বেরিয়ে একদা তৃণমূলের সেকেন্ড ম্যান তথা কৃষ্ণনগর উত্তরের বিজেপি বিধায়ক মুকুল বলেন, কিছু কিছু সময় চুপ করে থাকাটাই শ্রেয়। এও বলেছিলেন, যা বলার সাংবাদিকদের ডেকে বলবেন।
কিন্তু চব্বিশ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই মুখ খুললে মুকুলবাবু।
টুইট করে তিনি লিখেছেন, “আমাদের রাজ্যে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে বিজেপির সৈনিক হিসাবে আমার লড়াই অব্যাহত থাকবে। আমি সবাইকে অনুরোধ করব জল্পনা এবং অনুমানগুলিকে বিশ্রাম দিন। আমি আমার রাজনৈতিক পথে দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ।”
My fight would continue as a soldier of BJP to restore democracy in our state. I would request everyone to put the concoctions and conjectures to rest. I am resolute in my political path.
— Mukul Roy (@MukulR_Official) May 8, 2021
লোকসভা ভোটে বাংলায় ১৮টি আসন জিতেছিল বিজেপি। তারপর শহিদ মিনারের সভা থেকে অমিত শাহ বলেছিলেন, মুকুলদাই এই জয়ের অন্যতম কারিগর। তাঁকে কলকাতা থেকে দূরে কৃষ্ণনগর উত্তর আসনে প্রার্থী করা হয়েছিল। তার পর মুকুল রায় আর কোনও কথা বলেননি। প্রচারে বেরিয়ে শুধু ভোটারদের উদ্দেশে হাত নেড়েছেন বা হাতজোড় করে প্রণাম করেছেন। ব্যস ওই টুকুই কোনও বক্তৃতা দেননি। সাংবাদিকদের কোনও সাক্ষাৎকার দেননি। এমনকি ভোটের ফলপ্রকাশের আগে ও পরেও চুপ করেছিলেন। এমনকি নন্দীগ্রামের শেষ প্রচারের দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, মুকুল বেচারাকে কৃষ্ণনগরে প্রার্থী করেছে। ব্যারাকপুর, জগদ্দল—এটা ওর নিজের এলাকা। সেখানে করেনি।
নানাবিধ ঘটনায় জল্পনা জোরাল হচ্ছিল। তবে বিজেপির অনেকে এও বলেছেন যে ভাবে বাংলায় ভোট পরিচালনা হয়েছে তাতে মুকুল রায়কে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। বাংলা সম্পর্কে কিছু না জানা শিবপ্রকাশরাই সবটা করেছেন। এ নিয়ে মুকুলবাবুর অসন্তোষ রয়েছে বলেও খবর।
যদিও এদিন সেই সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটাতে চাইলেন একদা তৃণমূলের সেকেন্ড ম্যান। কিন্তু তা কি সমাপ্ত হল? সময়ই বলবে।