দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ রবিবারের সকালে সুখবর।হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। শনিবার বিকেলেই জানানো হয়েছিল, সব কিছু ঠিক থাকলে রবিবার সকালেই ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক তথা বর্তমানে বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে ছাড়া হতে পারে হাসপাতাল থেকে। তেমনটাই হল। অবশেষে চারদিন হাসপাতালে থাকার পরে রবিবার বেলা ১১টা ২ মিনিট নাগাদ অ্যাপোলো হাসপাতাল থেকে ছাড়া হল মহারাজকে।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, এদিন সকালে আর একদফা রুটিন চেকআপ করা হয় সৌরভের। সব রিপোর্ট স্বাভাবিক থাকায় তাঁকে ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা। তবে এখন কিছুদিন তাঁকে সম্পূর্ণ বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। যদিও সৌরভের তত্ত্বাবধানে থাকা দুই চিকিৎসক ডাঃ সরোজ মন্ডল ও ডাঃ আফতাব খান জানিয়ে দিয়েছেন, বোর্ড প্রেসিডেন্ট ভাল রয়েছেন। দুটি স্টেন্ট বসার পরেও তিনি একেবারেই স্বাভাবিক রয়েছেন। বাড়িতে থেকে সামান্য কাজকর্ম তিনি করতে পারবেন। তবে বেশি চাপ নিতে বারণ করা হয়েছে তাঁকে। জানা গিয়েছে, রক্ত তরল রাখার ওষুধ খেতে হবে সৌরভকে।
বেলা ১১টা ২৬ মিনিট নাগাদ বেহালাতে নিজের বাড়িতে পৌঁছে যান সৌরভ। বাড়িতে তাঁকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানানো হয়। তাঁর বাড়ির সামনে এই ক’দিন জড়ো হয়েছিলেন অসংখ্য ভক্ত। এদিনও তাঁদের দেখা যায়।
শনিবার সন্ধ্যের পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সৌরভের বাড়ি ফেরার বিষয়টি নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেছে। হাসপাতালের কোন গেট দিয়ে তিনি বেরবেন, তিনি নিজে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলবেন কিনা, বললেও তাঁর জন্য কোনও আলাদা জায়গা করা হবে কিনা, সবটাই খতিয়ে দেখে নেন আধিকারিকরা। যদিও আজ দেখা যায় খুবই নির্লিপ্ত ভাবে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে যান মহারাজ। আগের বার যেভাবে সংবাদমাধ্যম ও ভক্তদের সামনে তাঁকে কথা বলতে শোনা গিয়েছিল এবার আর তেমনটা করেননি তিনি।
এমনিতে এবার মহারাজের শারীরিক বিষয়ে তাঁর পরিবার অত্যন্ত গোপনীয়ভাবে কাজ সেরেছেন। এটি নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর পরিবারের প্রশংসাও করেছেন। এই একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন সৌরভের দাদা স্নেহাশিসও। তাঁরও হৃদযন্ত্রে একটি স্টেন্ট বসেছে। কিন্তু স্নেহাশিসের ক্ষেত্রেও গোপনীয়তার সঙ্গে করে তাঁকে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এবং তিনি একেবারেই স্বাভাবিক জীবনে ফিরে গিয়েছেন। সৌরভের ক্ষেত্রেও একই পন্থা নেওয়া হবে বলেই জানা যায়। সেটাই দেখা গেল এদিন।