মেদিনীপুর নিয়ে ‘বড়’ ঘোষণা মমতার: নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সাংবাদিক বৈঠকের হাইলাইটস

0
1516

দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ তৃণমূলকে জবাব দিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে কাঁথিতে যখন বিশাল মিছিল করছেন শুভেন্দু অধিকারী, ঠিক সেই সময়েই মেদিনীপুরে বন্দর পরিকাঠামো নির্মাণে বড় ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

হাইলাইটস-নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিক বৈঠক:

প্রসঙ্গ তাজপুর বন্দর :
• আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আগামী ২৮ ডিসেম্বর তাজপুর বন্দর পত্তনের জন্য আবেদন চেয়ে বিজ্ঞাপন দিচ্ছে। ‘এক্সপ্রেশন অব ইন্টারেস্ট’ জানাতে বিজ্ঞাপন দেওয়া হচ্ছে। দেশ ও পৃথিবীর সমস্ত বড় বড় বন্দর নির্মাতা সংস্থার কাছে অনুরোধ আপনারা এগিয়ে আসুন। ৪২০০ কোটি টাকার এই প্রকল্পে কোনও জমি অধিগ্রহণ করা হবে না। তবে বন্দর নির্মাণের সুযোগ মিলবে।

• খুব কম করে ১৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ হবে। ২৫ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে। দুই মেদিনীপুরের ক্ষেত্রেই ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে।
• এই প্রকল্পের ফলে ইস্পাত রফতানির সুযোগ বাড়বে।
• এই বন্দর তৈরি হলে মেদিনীপুর থেকে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া ও জাপানে সি-ফুড রফতানির সুযোগ বাড়বে। প্রয়োজনে সেখানে একটা এক্সপোর্ট সেন্টার হবে নিশ্চয়ই।


প্রসঙ্গ সিঙ্গুর শিল্প পার্ক:
• সিঙ্গুরে আমরা চাষিদের জমি ফেরত দিয়েছি। এখনও মাসে দু’হাজার বা আড়াই হাজার টাকা দিই। সঙ্গে বিনা পয়সায় চাল দিই।
• সিঙ্গুরে কৃষি নির্ভর শিল্প হতেই পারে।

• কোভিডের সময়ে সবাই ব্যস্ত। এই সময়ে বিনিয়োগ কম হচ্ছে। এটা নিয়ে সমস্যা রয়েছে গোটা বিশ্বে।
• সিঙ্গুরে একটা অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক তৈরি করছি। যেহেতু সিঙ্গুরের ফসল খুব সুজলা সুফলা শস্য শ্যামলা, যাতে সেখানে উৎপাদন বাড়ে, নানারকম বীজ তৈরি করতে পারে, নানারকম খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ করতে পারে, তার ব্যবস্থা করছি।
• সিঙ্গুর রেল স্টেশন ও ট্রমা সেন্টারের কাছে ১১ একর জমিতে এটা গড়ে তুলবে ক্ষুদ্র শিল্প উন্নয়ন বোর্ড। বাউন্ডারি ওয়াল দেওয়া শুরু হয়েছে। ইচ্ছুক শিল্পপতিদের কাছে জমির জন্য আবেদন চাওয়া হচ্ছে। ১০ কাঠা থেকে শুরু ৩০ কাঠা পর্যন্ত নানা সাইজের প্লট দেওয়া হবে। শিল্পপতিদের ইচ্ছা অনুযায়ী ডেভেলপ করে জমি দিতে পারি বা যে অবস্থায় জমি রয়েছে সেই অবস্থায় দেওয়া হতে পারে।


প্রসঙ্গ পানাগড় শিল্প পার্কে নতুন বিনিয়োগ
• ধানসিড়ি তথা ধানুকা গ্রুপ পানাগড় শিল্প পার্কে ৩৮ একর জমি নিয়ে ৪০০ কোটি টাকার একটা প্রকল্প করতে চাইছে। আমরা জমিটা দিচ্ছি। সেখানে ফুড প্যাকেজিং শিল্প কারখানা হবে।

• সিলিকন ভ্যালির জন্য জমি দেওয়ার ক্ষেত্রে হিডকো সব সময়ে উইন্ডো খুলে রাখবে।


প্রসঙ্গ অমর্ত্য সেন:
প্রশ্ন ছিল, বোলপুরে অমর্ত্য সেন কি কোনও সরকারি জমি জোর করে ধরে রেখেছেন?
আমি অমর্ত্য সেনকে সম্মান করি। আমি নই, সারা বিশ্ব সম্মান করে। তিনি আমাদের নোবেল প্রাইজ এনে দিয়েছেন। বাংলার গর্বকে বিশ্ব শিখরে নিয়ে গিয়েছেন। আপনারা কি বিশ্বাস করেন যে অমর্ত্য সেন এমন হবে যে উনি শান্তিনিকেতনে জমি দখল করে বসে থাকবেন। আমি যতটুকু জানি, ওনার পরিবার এখানে আছেন প্রায় সত্তর আশি বছর। যাঁরা এ সব বলছেন তাঁরা ওনার সম্পর্কে কতটুকু জানেন? অমর্ত্য সেন একটু বিজেপির বিরুদ্ধে। তাই তিনি বাড়ি দখল করেছেন, হকার বসিয়েছেন, তার প্রতীচী বাড়ি নিয়ে যা ইচ্ছা বলে যাবে তা বাংলার মানুষ বরদাস্ত করবে না। আমি বাংলার মানুষের হয়ে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। আমি যতদূর জানি, অমর্ত্য সেনের পরিবারই রবীন্দ্রনাথকে বোলপুরে ডেকে নিয়ে গিয়েছিলেন।

আমাদের দুর্ভাগ্য, যে কুকথা, অসত্য, অর্ধ সত্য, অর্ধ নগ্ন ভাষায়, অর্ধ নর ভাষায় লোককে গালাগালি করছে। ভাবছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তো পেয়ে গেছি একটা সহজ সরল ঘরের মেয়ে, তাকে রোজ গালাগালি দেয়, সে তো প্রতিবাদ করে না। কারণ সে তো জানে লাস্ট অবধি আমিই জিতব। আমাকে আঘাত করতে করতে বাংলার মণীষিদের আঘাত করছে। বলছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শান্তিনিকেতনে জন্ম নিয়েছিলেন। কী চায় ইতিহাসকে ভুলিয়ে দিতে?


বাংলা মানে বিশ্ববাংলা, বাংলা মানে নাসা থেকে ভাষা, আজকে স্পেসেই যান বা ল্যান্ডে যান, আজকে স্কাইয়ে যান আর স্টারে যান, আজ হিলে যান বা গ্রিনারি যান, আজ ফরেস্টে যান বা যেখানে ইচ্ছা যান। তাই যারা অপমান করেছে তাদের ক্ষমা চাইতে হবে। আমি বাংলার বুদ্ধিজীবীদের কাছে আবেদন করছি, আপনারা প্রতিবাদ করুন। অর্মত্য সেনকে কেন অপমান করা হচ্ছে, জবাব চাই। বিনা যুদ্ধে এক ইঞ্চি জমিও ছাড়ব না।


প্রসঙ্গ বিশ্বভারতীর শতবর্ষ উদযাপন
ভাই কবে ডাকল, কখন ডাকল, আমার কিছুই জানা নেই। আমি বিশ্বভারতীতে যখন যাচ্ছি আমার কাছে সময় চেয়েছিলেন। আমি সময় দিতে পারিনি। কিন্তু আজ শতবর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠানের জন্য নো আমন্ত্রণ, নো নিমন্ত্রণ, নো ফোন.. আমাকে ডাকা হয়নি।

Previous articleবড়দিনে ছয় রাজ্যের কৃষকদের সঙ্গে বৈঠক মোদীর
Next article‘বামেদের সঙ্গে জোট আজই ঘোষণা করে দিন’:অধীরকে রাহুল

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here