দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীর ছেলে মহাক্ষয় ওরফে মিমোর নামে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে। মুম্বইয়ের ওয়াশিওয়াড়া থানায় মিমোর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছেন এক মডেল। অভিযোগের তালিকায় রয়েছে মিঠুন-পত্নী যোগিতা বালির নামও। বৃহস্পতিবার রাতে এই অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে মিমোর বিরুদ্ধে।
ওই মডেলের অভিযোগ, ২০১৫ সাল থেকে মিমোর সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন তিনি। একে অন্যকে চেনেন দীর্ঘদিন। তবে তাঁর অভিযোগ, ৫ বছর আগে একদিন মিমো তাঁকে নিজের বাড়িতে ডেকেছিলেন। তারপর পানীয়ের সঙ্গে কিছু একটা মিশিয়ে খাইয়ে দেন এবং জোর করে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হন। এছাড়াও বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিক বার ওই মডেলের সঙ্গে মিমো শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। তরুণীর আরও পভিযোগ যে তিনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ায় মিমো তাঁকে গর্ভপাত করতে বাধ্য করেন। এমনকি মিমোর মা যোগিতা বালিও তাঁকে ফোন করে হুমকি দেন বলে অভিযোগ করেছেন ওই মডেল।
প্রসঙ্গত, দু’বছর আগে ২০১৮ সালের ১০ জুলাই পরিচাল এবং প্রযোজক সুভাষ শর্মার মেয়ে মাদলসাকে বিয়ে করেন মিমো। সেই সময়েও এমন অভিযোগ করেছিলেন এই মডেল। সেই সময় তিনি দাবি করেন যে পুলিশ তাঁর অভিযোগ নিতে চায়নি। এরপর আদালতের দ্বারস্থ হন ওই তরুণী। তাঁর দাবি, এবার আদালতের নির্দেশেই ওয়াশিওয়াড়া থানায় মিমো এবং তাঁর মায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। সূত্রের খবর, দিল্লির রোহিনী আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এই মডেল।
বিয়ের আগেও এই তরুণীর অভিযোগ নিয়ে বিপাকে পড়েছিলেন মিমো। প্রায় ভেস্তেই যেতে বসেছিল দক্ষিণী অভিনেত্রী মাদলসার বিয়ে। সে সময় জানা গিয়েছিল এই মডেল আবার ভোজপুরী ইন্ডাস্ট্রির অভিনেত্রী। তাঁর আইনজীবীও সে সময় অভিযোগ করে বলেছিলেন যে, মিমোর সঙ্গে নাকি বিয়ে ঠিক হয়ে গিয়েছিল তাঁর মক্কেলের। মেলানো হয়েছিল কুষ্ঠিও।
কিন্তু আচমকাই নাকি বেঁকে বসেন মিঠুন পুত্র। বিয়ে করতে অস্বীকার করেন তিনি। ধর্ষণের পাশাপাশি প্রতারণার মামলাও করা হয় মিমোর বিরুদ্ধে। তাঁর এবং মাদলসার বিয়ের দিন বিলাসবহুল ভেন্যু উটির হোটেল ‘দ্য মোনার্ক’-এ পৌঁছে যায় পুলিশ। হোটেল ছেলে চলে যায় কন্যাপক্ষ।
এই ঘটনার পর থেকেই গুঞ্জন শুরু হয়েছিল বলিউডে। তাহলে কি ভেঙেই গেল মিঠুন পুত্রের বিয়ে। কিন্তু সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে ১০ জুলাই মাদলসার সঙ্গে বিয়ে করেন মিমো। তার আগে অবশ্য আগাম জামিন নিতে হয়েছিল তাঁকে। ১ লক্ষ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন পান তিনি। প্রথমে বম্বে হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করেছিলেন মিঠুনের স্ত্রী এবং ছেলে।
সেই আবেদন খারিজ করে দেয় বম্বে হাইকোর্ট। তবে বিচারপতি অজয় গডকড়ি জানিয়েছিলেন দিল্লি হাইকোর্টে আবেদন করতে পারেন তাঁরা। এর পর দিল্লির আদালত মা ও ছেলের আগাম জামিনের আবেদন মঞ্জুর করে।