ভয়াবহ পরিস্থিতি!‌ করোনা ভাইরাসে একদিনে মৃত ২৪২,এরই মধ্যে চিনের ‘জিনিয়াস স্টার’জাহাজ ঢুকছে কলকাতা বন্দরে

0
433

দেশের সময় ওয়েবডে: আতঙ্ক। ত্রাস। ক্রমেই ভয়াবহ আকার নিচ্ছে করোনা ভাইরাস। চীনে একদিনে মৃতের সংখ্যা দ্বিগুণেরও বেশি বেড়ে নয়া রেকর্ড সৃষ্টি হল। বুধবার মারণ ভাইরাসে ২৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৩১০। গত সোমবার করোনায় আক্রান্ত হয়ে একদিনে ১০৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল। সেটাই ছিল এতদিন একদিনে সর্বাধিক মৃত্যুর রেকর্ড। যা ভেঙে গেল বুধবার।
নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যাও অনেক বেড়েছে। বুধবার আরও ১৪,৮৪০ জনের শরীরে মিলেছে এই ভাইরাস। যার ফলে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪৮,২০৬। হুবেই প্রদেশের স্বাস্থ্য আধিকারিকরা জানিয়েছেন, আক্রান্তদের চিকিত্‍‌সায় বৃহস্পতিবার থেকে নয়া প্রক্রিয়া চালু করা হয়েছে।
করোনাভাইরাসের আক্রমণে প্রায় দিশাহারা চিন। চিনের বাইরেও বেশ কয়েকটি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাসের আতঙ্ক। ভারতের কয়েকজনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মিলেছে। এই অবস্থায় বৃহস্পতিবারই চিন থেকে একটি মালবাহী জাহাজ এসে পৌঁছছে কলকাতায়।

গত ২৯ জানুয়ারি সাংহাই থেকে কলকাতার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছিল এই জাহাজটি। জিনিয়াস স্টার নামে এই কার্গো শিপে ১৯জন চিনা নাবিক রয়েছেন। কলকাতা থেকে ১২০ কিলোমিটার দূরে সাগরের একটি দ্বীপে বুধবার থেকেই বিচ্ছিন্ন ভাবে রাখা হয় জাহাজটিকে। কোলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের মেডিক্যাল টিম জাহাজের নাবিকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেছেন।

জাহাজের কারোর জ্বর না থাকায় সেটিকে কলকাতায় ঢোকার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেল ৫.৩০ নাগাদ কলকাতা বন্দরে পৌঁছবে জাহাজটি। সেখানেও নাবিকদের আর এক প্রস্থ শারীরিক পরীক্ষা করা হবে।
রোগের আঁতুড়ঘর হুবেই থেকে শীর্ষ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের অন্যত্র সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে চীন। প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেছেন, সরকারের কড়া পদক্ষেপে ইতিবাচক সুফল মিলছে। তবে চীনা বিশেষজ্ঞরা পূর্বাভাস দিয়েছেন, এই মাসের শেষের দিকে চরম আকার নেবে এই রোগ।

চিকিৎসক মহলের দাবি, আক্রান্তের তুলনায় মৃত্যুর হার সার্সে অনেক বেশি ছিল। করোনা ভাইরাসে যে বিপুল সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন, সেই তুলনায় মৃত্যুর হার নাকি যথেষ্টই কম। কিন্তু এই ভাইরাস ছড়াচ্ছে অত্যন্ত দ্রুত। এটাই চিন্তার। ৯৯ শতাংশ মৃত্যুই চীনের মূল ভূখণ্ডে ঘটেছে। কিন্তু যে এক শতাংশ চীনের বাইরে, সেটাই চিন্তা বাড়াচ্ছে চিকিৎসকদের। চীনের বাইরে এই সংক্রমণ কীভাবে রোখা যায়, ভাবনাচিন্তা চালাচ্ছেন তাঁরা।

ব্রিটেনের বাকি অংশে সংক্রমণের খবর জানা গেলেও এত দিন লন্ডনে কোনও আক্রান্তের কথা জানা ছিল না। বুধবার সে খবরও মিলেছে। সংবাদমাধ্যমের দাবি, লন্ডনে প্রথম যে আক্রান্তের হদিস মিলেছে, তিনি সম্ভবত এক মহিলা। জেনিভায় এক সম্মেলনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই নতুন করোনা ভাইরাসের আনুষ্ঠানিক নামকরণ করেছে ‘কোভিড–১৯’।

প্রাথমিকভাবে হুবেইয়ের বেআইনি পশু বিক্রির বাজার থেকেই করোনা ভাইরাস সংক্রমণের সূত্রপাত বলে ধারণা। যার ফলে হুবেই প্রদেশে কার্যত লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। বন্ধ রাখা হয়েছে জমায়েত।

Previous articleঅপরাধীকে প্রার্থী করলে কারণ জানাতে হবে দলকে:‌ শীর্ষ আদালত
Next articleএক মুহূর্তে আপনার গোপন তথ্য চলে যেতে পারে কেন্দ্রের হাতে, নতুন নির্দেশিকা জারি হতে চলেছে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here