দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ প্রায় আট মাস বন্ধ থাকার পরে বুধবার রাজ্যে শুরু হয়েছে লোকাল ট্রেন পরিষেবা। আর প্রথম দিনেই অফিস টাইমে ভিড়টা চোখে পড়ার মতো। ভিড় ট্রেনে ঠাসাঠাসি করে যাতায়াত করতে হয়েছে যাত্রীদের। আরও ট্রেন বাড়ানোর দাবি তুলেছেন তাঁরা। একই কথা শোনা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলাতেও। আর তারপরেই অফিস টাইমে আরও লোকাল ট্রেন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল রেল। জানানো হয়েছে, অফিস টাইমে ৯৫ শতাংশ লোকাল ট্রেন চালানো হবে।
বৃহস্পতিবার ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানোর বিষয়ে বৈঠক হয় ভবানীভবনে। নবান্ন বন্ধ থাকায় ভবানীভবনে এই বৈঠক হয়। রাজ্য সরকারের তরফে সেখানে ছিলেন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়, স্বরাষ্ট্রসচিব হরি কৃষ্ণ দ্বিবেদী, পরিবহনসচিব রাজেশ সিনহা। এছাড়া কলকাতার পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মাও ছিলেন বৈঠকে। ছিলেন রেলের আধিকারিকরা।
সূত্রের খবর, এই বৈঠকে রাজ্যের তরফে জানানো হয়, লোকাল ট্রেনের সংখ্যা না বাড়ালে ভিড় বাড়বে। তাতে সংক্রমণ বেশি ছড়াতে পারে। তারপরেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে অফিস টাইমে ৯৫ শতাংশ লোকাল ট্রেন চালাবে রেল। আগে সেটা ছিল ৮৪ শতাংশ। এছাড়া বাকি সময়েও যাতে লোকাল ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো যায় সেই ব্যাপারে রেলের তরফে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে বলেই খবর। শিগগির সরকারি ভাবে এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হবে বলেও জানা গিয়েছে।
বুধবারই মন্ত্রিসভার বৈঠকের পরে নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলনের শুরুতেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, পাবলিকের কথা ভেবে আজ থেকে লোকাল ট্রেন শুরু হয়েছে। কিন্তু আমরা রেলকে অনুরোধ করব যাতে ট্রেনের সংখ্যা আরও বাড়ানো হয়। নাহলে গাদাগাদি করে ট্রেনে উঠতে গিয়ে সংক্রমণ ছড়ানোর সম্ভাবনা আরও বেড়ে যাবে। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই রাজ্যের সঙ্গে বৈঠক করে এই সিদ্ধান্ত নিল রেল।
বুধবার লোকাল ট্রেন শুরু হওয়ার পর সকালের দিকে ছবিটা স্বাভাবিকই ছিল। স্বাস্থ্যবিধি মেনেই ট্রেনে উঠছিলেন যাত্রীরা। দূরত্ববিধি মেনে বসছিলেন তাঁরা। কিন্তু অফিস টাইম শুরু হতেই বদলে যায় ছবিটা। সেই আগের ছবি দেখা যায়। ট্রেনের মধ্যে গাদাগাদি করে মানুষ ওঠায় শিকেয় ওঠে দূরত্ববিধি। স্টেশনে রেল পুলিশের কড়া নজরদারি থাকলেও ট্রেনের মধ্যে অনেককে কোভিড বিধি না মেনে চলতেও দেখা যায়। যাত্রীদের মধ্যেই থেকেই ট্রেন আরও বাড়ানোর দাবি ওঠে। সেই দাবি মেনেই অফিস টাইমে ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল রেল।