দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ বিরল প্রজাতির সোনালি কচ্ছপের দেখা মিলল নেপালে। এই প্রথম সে দেশে এমন কচ্ছপ দেখা গেল। তবে কচ্ছপটিকে দেখেই বিষ্ণুর অবতার হিসেবে সেটির পুজো করা শুরু করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
মিথিলা ওয়াইল্ডলাইফ ট্রাস্ট সূত্রের খবর, ইন্ডিয়ান ফ্ল্যাপশেল টার্টেল বা লিসেমিস পাংটাটা অ্যান্ডারসনি প্রজাতির কচ্ছপটি বিরল জেনেটিক মিউটেশনের কারণে এমন রঙের অধিকারী। তাদের খোলসটি উজ্জ্বল সোনালি রঙের হয়ে ওঠে। মনে করা হচ্ছে এই নিয়ে মোট পাঁচ বার পৃথিবীতে দেখা গেল এই প্রজাতির কচ্ছপ।
জানা গেছে, ধনুষাধাম অভয়ারণ্যের অ্যানিম্যাল কিপার চন্দ্রদীপ সাদা ওই সোনালি কচ্ছপটিকে উদ্ধার করেন। ঘটনাটি সামনে আসার পরেই তোলপাড় পড়ে গেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সরীসৃপ বিশেষজ্ঞ কমল দেবকোটা জানিয়েছেন নেপালের ইতিহাসে এই প্রাণীটির গুরুত্ব অপরিসীম।
তাঁর কথায়, “শুধু সোনালি প্রাণী হিসেবেই নয়, ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক দিক থেকেও নেপালে এই কচ্ছপের গুরুত্ব অপরিসীম। হিন্দু পুরাণ মতে কচ্ছপটির ওপরের খোলস আকাশকে বোঝায় এবং তলাটা বোঝায় পৃথিবীটা।” কচ্ছপটির ছবি তুলে সেটিকে আবার অরণ্যে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
গত মাসেই ওড়িশায় দেখা গেছিল এই কচ্ছপ। ভুবনেশ্বর থেকে ১৯৬ কিলোমিটার দূরের এই গ্রামের বাসিন্দারা প্রথমে দেখে বুঝতেই পারেননি আদতে সেটি কী। বেশ কিছুক্ষণ পরে তাঁরা বুঝতে পারেন সোনালি রঙের একটি কচ্ছপের দেখা তাঁরা পেয়েছেন। সেটিকে উদ্ধার করেন তাঁরা। এই প্রজাতির কচ্ছপ বিরল বলেই জানাচ্ছেন প্রাণীবিদরা।
বালাসোরের এক ওয়াইল্ডলাইফ ওয়ার্ডেন ভানুমিত্র আচার্য জানিয়েছেন, এই প্রজাতির কচ্ছপ খুবই বিরল। তিনি জানান, “যে কচ্ছপটিকে উদ্ধার করা হয়েছে, তার খোলস- সহ পুরো শরীরটা হলুদ রঙের। আমি নিজে এই ধরনের কচ্ছপ আগে দেখিনি।”