বিজয়াতে,চন্দ্রচুঁড় দই আর কাঁচাগোল্লা অপরিহার্য বনগাঁয়৷ সোমনাথ মজুমদার-

0
1085

উমা ফিরছেন কৈলাসে, আজ শুধুই বিষন্নতা৷ দেবীবরণ ,সিঁদুর দান শেষে নিরঞ্জন ,এরপর বিজয়ার কোলাকুলি, বাঙালির চিরকালের ঐতিহ্য৷আর বিজয়া মানেই অপরিহার্য বস্তু মিষ্টি, বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়,রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায় বা দীনবন্ধু মিত্রের শহর বনগাঁ, সাহিত্যের পাশাপাশি গোটা রাজ্য ছাড়িয়ে ও বিদেশে যে কারণে এই শহরের নাম ছড়িয়ে পড়েছে তা হলো কাঁচা গোল্লা এবং চন্দ্রচূড় দই, সময়ের সাথে সাথে বদলেছে পরিস্থিতি, কিন্তু এই চন্দ্রচূড় দই বা কাঁচাগোল্লা হারায়নি তার ঐতিহ্য, হারায়নি তার কৌলিন্য ৷সারা বছর এর যেমন চাহিদা থাকে উৎসবের দিনগুলিতে এই চাহিদা হয় আরও দ্বিগুণ , বাড়িতে অতিথি এলে অথবা কেউ বনগাঁ থেকে ভিন রাজ্যে হোক বা ভিনদেশে ঘুরতে গেলেও উপহার স্বরুপ নিয়ে যান এই কাঁচাগোল্লা বা চন্দ্রচূড় দধি, জানা গেছে আজ থেকে প্রায় ৭০ থেকে ৭৫ বছর আগে যোগেন চন্দ্র ঘোষ এই চন্দ্রচূড় দই এর আবিষ্কার করেন ,বর্তমানে তৃতীয় প্রজন্মের পুরুষেরা দোকান সামলাচ্ছেন৷ বর্তমান প্রজন্মের অলোক ঘোষ দাবি করেন, আগের মত দুধ পাওয়া যায় না সে কারণে স্বাদে হয়ত কিছু পরিবর্তন হয়েছে, তবে আমরা চন্দ্রচূড় দই বানানোর ক্ষেত্রে কোন আপোষ করি না৷কাঁচাগোল্লা প্রস্তুতকারক রতন কুন্ডু বলেন, আমাদের এসব মিষ্টির চাহিদা যেমন এপারে রয়েছে ঠিক তেমনি বাংলাদেশ ও তার সমান চাহিদা ৷বর্তমানে প্রায় দিনরাত এক করেই মিষ্টি প্রস্তুত করছেন তারা, এ বিষয়ে শিক্ষক পার্থসারথি দে বলেন ,সাহিত্যের সাথে মিষ্টির একটা গভীর সম্পর্ক রয়েছে এ শহরে, একটা সময় বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় সহ অন্যান্য সাহিত্যিকেরা ও মিষ্টির দোকানে আড্ডা জমাতেন৷বর্তমান সময়ে হয়তো অনেক আধুনিক মিষ্টি এসেছে বাজারে, কিন্তু জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়েনি কাঁচাগোল্লা বা চন্দ্রচুঁড় দই এর৷

Previous articleবিসর্জনের সুর ইছামতীর তীরে
Next articleবনগাঁয় বিজয়ার শুভেচ্ছা বিনিময় করে গেলেন জ্যোতিপ্রিয়,দেবীবরণে ব্যস্ত বাঙালিঃ দেশের সময়ঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here