দেশের সময় ওয়েব ডেস্কঃ বাগদা বিধানসভা এখন তৃণমূলের পাখির চোখ। আর তাই বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী মমতা ঠাকুরের সমর্থনে বাগদার বৈকোলার রনঘাট অঞ্চল হাইস্কুলের মাঠে এক কর্মী সভায় অনুষ্ঠিত হল। সেখানে রাজ্য তৃণমূল সভাপতি সুব্রত বক্সি।

এ দিনের এই কর্মীসভায় সুব্রত বক্সি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন উত্তর ২৪ পরগনা জেলার তৃণমূল সভাপতি তথা রাজ্যের খাদ্য ও সরবরাহ মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী মমতা ঠাকুর,গোপাল শেঠ (প্রাক্তন বিধায়ক বনগাঁ) শঙ্কর আঢ্য (পুরপ্রধান বনগাঁ) সহ অনেকেই ।

এদিনের মঞ্চে দাঁড়িয়ে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, “নিন্দুকেরা যতই সমালোচনা করুক না কেন, বনগাঁ লোকসভার অন্তগত বাগদা বিধানসভা থেকে আমরা রেকর্ড ভোটের ব্যবধানে জয়ী হবো।”। ভাটপাড়ার বিধায়ক অর্জুন সিংহের নাম না করে খাদ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “গতকাল এই জেলার জেলা থেকে বিজেপির পতন শুরু হয়েছে। এই জেলায় পাঁচটি আসনের মধ্যে সবকটি আসনেই আমরা জিতবো।

এবং এই বাংলায় আমরা বিয়াল্লিশে বিয়াল্লিশ হবো”।বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের অর্ন্তগত বাগদা বিধানসভা কেন্দ্রটি এই মুহূর্তে বিরোধীদের দখলে। আর তাই এই কেন্দ্রে থেকে এই লোকসভা নির্বাচনে বেশি করে নিজেদের পক্ষে ভোট টানার দিকে নজর দিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। সেই লক্ষে মঙ্গলবার বাগদার রনঘাট অঞ্চল হাইস্কুলের মাঠে বাগদা বিধানসভা এলাকার কর্মীদের নিয়ে একটি সভার আয়োজন করে তৃণমূল।

সেখানে উপস্থিত ছিলেন দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী, জেলা সভাপতি তথা খাদ্যমন্ত্রী, বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী মমতা ঠাকুর সহ দলের অন্য নেতা, কর্মীরা। বাগদা বিধানসভা কেন্দ্রটি একসময় তৃণমূলের দখলে ছিল। দলের টিকিটে এই কেন্দ্রে বিধায়ক হন দুলাল বর। পরের বার সেখানে তৃণমূলের টিকিট পেয়ে বিধায়ক, এমনকি মন্ত্রী হন উপেন বিশ্বাস।

গতবার দুলাল বর বিদ্রোহী হয়ে কংগ্রেসের টিকিটে দাঁড়িয়ে জয়ী হন। সেই দুলালই সম্প্রতি বিজেপিতে যোগ দিয়েছে। আর সেই কারনে তৃণমূল আরও বেশি করে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়েছে যে, এই বিধানসভা কেন্দ্রে যতটা কম ভোট নিজেদের রয়েছে, তার থেকে অনেক বেশি পরিমানে ভোট পেতে হবে। এদিন কর্মীসভার শেষে সাংবাদিকদের কাছে তারই ইঙ্গিত দিয়ে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের ৭টি বিধানসভার মধ্যে বাগদা বিধানসভা থেকে আমরা সবথেকে বেশি ভোটে জয়ী হব।’‌

দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী বলেন, ‘যত বেশি দফায় নির্বাচন হবে এবং নির্বাচনে যত বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে ততবেশি ভোটে আমরা জয়ী হই, ইতিহাস তাই বলছে।’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here