বাংলায় লকডাউনের খবর ভুয়ো বলে জানিয়ে বিভ্রান্ত না হওয়ার পরামর্শ নবান্নের

0
2003

দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ বাংলায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নতুন করে ছড়াচ্ছে। এ বছরের মধ্যে গতকাল রবিবারই নতুন করে কোভিডে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল সর্বাধিক, এটা ঠিক। কিন্তু কলকাতায় বা গোটা রাজ্যে লকডাউন হবে বলে যে খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় কেউ কেউ ছড়াচ্ছে তা ভুয়ো বলে জানিয়ে দিল নবান্ন।


নবান্নের শীর্ষ সূত্রে সোমবার বলা হয়েছে, এমন কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকও এমন কোনও পরামর্শ এখনও পর্যন্ত দেয়নি। এই ধরনের ভুয়ো খবরে কেউ যেন বিভ্রান্ত না হন তারই পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

গত বছর আজকের দিনেই তথা ২২ মার্চ দেশজুড়ে জনতা কার্ফু হয়েছিল। তার পর থেকে দীর্ঘ দিন ঘরবন্দি থাকার স্মৃতি এখনও ম্লান হয়নি। তাই লকডাউনের ভুয়ো খবর ছড়াতেই অনেকে উৎকণ্ঠায় পড়েছেন। তা ছাড়া নবম শ্রেণি থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্কুলে ক্লাস শুরু হয়েছে। ৫ মে সিবিএসই বোর্ডের পরীক্ষা রয়েছে। তা অনিশ্চিত হয়ে যাবে কিনা তা নিয়েও ধন্দে পড়ে গেছেন অনেকে।

কিন্তু নবান্নের শীর্ষ এক আমলা সোমবার বলেন, “যারা লকডাউনের ভুয়ো খবর ছড়াচ্ছে তারা দায়িত্বজ্ঞানহীনের মতো কাজ করছে।” তাঁর কথায়, “লকডাউন যাতে না করতে হয় সে জন্যও মানুষকে দায়িত্বশীল হতে হবে। কোভিডের টিকাকরণ প্রক্রিয়া চলছে। গোটা জনসংখ্যার হিসাবে এখনও পর্যন্ত খুব কম সংখ্যক মানুষকেই টিকা দেওয়া সম্ভব হয়েছে। ফলে সংক্রমণ রুখতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, হাতের পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা ইত্যাদি এখনও কঠোর ভাবে মেনে চলা দরকার। যা অনেকেই করছেন না। সেই কারণেই কোভিডের সংক্রমণ নতুন করে বাড়ছে।”

রবিবার রাজ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪২২ জন। চলতি বছরের গত আড়াই মাসের মধ্যে এটাই রেকর্ড। অর্থাৎ একদিন এতো বেশি জন আক্রান্ত এর আগে একুশ সালে আর হয়নি। এর মধ্যে কলকাতাতেই আক্রান্ত হয়েছেন ১৫৮ জন। এর পরই রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। লাগোয়া এই জেলায় নতুন কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ৯৮। ঝাড়গ্রাম, কালিম্পং বাদ দিলে মোটামুটি সব জেলাতেই করোনার রেখচিত্র ঊর্ধ্বমুখী। তা ছাড়া কোভিডে আক্রান্ত হয়েছে গত চব্বিশ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে তিনজনের। বাংলায় এ পর্যন্ত কোভিডে মৃতের সংখ্যা তার ফলে পৌঁছে গিয়েছে ১০,৩০৬-এ।


স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতায় ভবানীপুর, রিজেন্ট পার্ক, নেতাজিনগর, ভবানীপুর, কড়েয়া, বেহালা, পর্ণশ্রী, হরিদেবপুর, মানিকতলা, ফুলবাগান এলাকায় সব থেকে বেশি লোক আক্রান্ত হচ্ছেন। ৮৯ থেকে ৯৮ নম্বর ওয়ার্ডে প্রায় প্রতিদিনই নতুন আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে। এই সব ওয়ার্ড এলাকাগুলিকে ঘিরে রয়েছে তা হল—যাদবপুর, গল্ফগ্রিন, রিজেন্ট পার্ক, গড়ফা, কসবা ও নেতাজিনগর। তাই বিভ্রান্তু না ছড়িয়ে সতর্ক হওয়ারই পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।

Previous article‘হার্মাদরা এখন বিজেপির ওস্তাদ’ কোতুলপুরে মন্তব্য মমতার
Next articleখুনের অভিযোগে অভিযুক্তর জামিন নাকচ ও তার ফাঁসির দাবিতে বনগাঁ আদালতে বিক্ষোভ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here