বাংলার পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর,পুলিশ তৃণমূল বাঁচাতে ব্যস্ত, জঙ্গি নেটওয়ার্ক খোঁজার সময় কই: কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী

0
686

দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ মুর্শিদাবাদ তথা বাংলায় জঙ্গি কার্যকলাপ বৃদ্ধির ঘটনা নিয়ে রাজ্যে তৃণমূল সরকারকে কাঠগড়ায় তুলতে চাইলেন লোকসভায় কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী।

শনিবার আল কায়দা জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত সন্দেহে মুর্শিদাবাদ থেকে ৬ যুবক গ্রেফতার হওয়ার পর অধীরবাবু বলেন, “এ ঘটনা যথেষ্ঠ উদ্বেগজনক। আল কায়দার মতো জঙ্গি সংগঠনের শিকর বাকড় যদি বাংলায় গজাতে শুরু করে তা হলে বুঝতে হবে পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর, ভয়াবহ”। এ কথা বলার পরক্ষণেই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি গোয়েন্দা ব্যর্থতার দায় চাপাতে চান নবান্নের উপর। তাঁর কথায়, “বাংলায় পুলিশ তৃণমূলকে বাঁচাতে ব্যর্থ। জঙ্গি নেটওয়ার্ক খোঁজার সময় কই! ন্যূনতম গোয়েন্দা পরিকাঠামো কাজ করলে বাংলায় এ ধরনের কার্যকলাপ চলতে পারে না।”

একুশের ভোট আসছে। তার আগে মুর্শিদাবাদের ঘটনা যে রাজ্য রাজনীতিতে বড় রসদ হয়ে উঠতে পারে সে দেওয়াল লিখন এখনই পরিষ্কার। তবে অধীরবাবু এ দিন বলেন, “রাজনীতি করার জন্য বা এর ঘাড়ে ওর ঘাড়ে দোষ চাপানোর জন্য এ কথাগুলো বলছি না। বাংলায় পুলিশি ব্যর্থতার কথা সাদাকালোয় পরিষ্কার। কয়েক বছর আগে খাগড়াগড়ে একটা বাড়িতে বিস্ফোরণ হওয়ার পর জানা গেছিল যে সেখানে জঙ্গিরা লুকিয়ে ছিল। বড় রাস্তার ধারে পাকা বাড়িতে তারা ছিল। বাজার করে খাওয়া দাওয়া করছিল। অথচ পুলিশ জানতেও পারেনি। বিস্ফোরণ না ঘটলে হয়তো জানতে পারতও না।”

খাগড়াগড় কাণ্ড নিয়ে আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ বারবার তৃণমূল সরকারের সমালোচনা করেছেন। তাঁদের বক্তব্য ছিল, বাংলায় অন্য কোনও শিল্প কারখানা হচ্ছে না। শুধু বোমা বানানোর কারখানা হচ্ছে। এদিন অধীরবাবু বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার আসলে পুলিশ দিয়ে দলের সাংগঠনিক কাজ করায়। কোন বিরোধী নেতাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসাতে হবে, কাকে চমকে তৃণমূলে আনতে হবে এসবই তাদের এখন কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে”।

অধীরবাবু বহরমপুরের সাংসদ। মুর্শিদাবাদ জেলার রাজনীতির নাড়ি নক্ষত্র তাঁর চেনা। ফলে শনিবার জেলায় যা ঘটেছে তা নিয়ে তাঁর উদ্বেগ থাকারই কথা। এ দিন তিনি বলেন, “এর আগেও বাংলায় জঙ্গি কার্যকলাপের ঘটনায় মুর্শিদাবাদের নাম উঠে এসেছে। ভারতের অন্যত্র জঙ্গি নাশকতার ঘটনাতেও মুর্শিদাবাদের নাম উঠেছে। যেমন কিছু দিন আগে বুদ্ধগয়ায় বিস্ফোরণের ঘটনার সঙ্গে মুর্শিদাবাদের নাম জড়িয়েছিল। তা ছাড়া এই জেলা বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী। বাংলাদেশের জামাত উল মুজাহিদের শাখা প্রশাখা এখানে ছড়িয়ে রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এ সব কম চিন্তার নয়।”

যদিও শুধু তৃণমূল সরকারকেই নিশানা করেননি অধীরবাবু। পরোক্ষে কেন্দ্রে শাসক দলেরও সমালোচনা করেছেন। তাঁর কথায়, ভারতবর্ষ এখন এক অদ্ভূত সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। রাজনৈতিক স্বার্থে সাম্প্রদায়িক মেরুকরণের চেষ্টা করছে এক দল। তাতে সমাজের এক শ্রেণির মানুষ অরক্ষিত বোধ করছেন।

আল কায়দা আইসিসের মতো জঙ্গি সংগঠন এই ধরনের পরিস্থিতিরই সুযোগ নেয়। তাদের মৌলবাদি চিন্তা ঢুকিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। মুর্শিদাবাদ থেকে যে যুবকদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তারা সবাই গরিব। অনেকের শিক্ষার অভাব রয়েছে। সেই সুযোগটাই জঙ্গি সংগঠনগুলো নিয়েছে।

Previous articleপ্রয়াত হলেন রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী পূর্বা দাম
Next articleবাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানিতে সম্মতি, জরুরি ভিত্তিতে ২৫ হাজার টন পেঁয়াজ পাঠাবে ভারত, প্রায় ১২০০ টন পেঁয়াজ রফতানি হল শনিবার

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here