দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ বড় দিনের আগে শীতের আমেজ গোটাবাংলায়৷ সপ্তাহ শেষে কলকাতার তাপমাত্রা নেমে গিয়েছিল ১১ ডিগ্রিতে। তবে গত দু’দিন তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে। আজ শহরের তাপমাত্রা ১৩ ডিগ্রির ঘরে। তাপমাত্রা সামান্য বাড়লেও জাঁকিয়ে শীতের আমেজ রাজ্যজুড়ে। বছরের শেষ কটা দিন এইরকমই শীতের পর্ব চলবে বলেই জানিয়েছে আলিপুর। এদিনও দক্ষিণবঙ্গের তিন জেলায় শৈত্যপ্রবাহের সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
বুধবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি কম। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৪.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি নীচে। বাতাসে জলীয় বাষ্পের সর্বোচ্চ পরিমাণ ৯৮ শতাংশ। সকালের দিকে সামান্য কুয়াশা দেখা যাচ্ছে শহর ও জেলায়। তবে বেলা বাড়তেই সেই কুয়াশা উধাও হয়ে যাচ্ছে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে কলকাতার থেকে তাপমাত্রা বেশ খানিকটা কম। উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের বেশিরভাগ জেলাতেই তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে ২ থেকে ৪ ডিগ্রি নীচে। পুরুলিয়া, বীরভূম ও মুর্শিদাবাদ, এই তিন জেলায় আজ শৈত্যপ্রবাহের সতর্কতা রয়েছে বলেই জানিয়েছে আলিপুর।
উত্তর ভারতের বেশিরভাগ রাজ্যেই শীতের আমেজ ভালই পড়েছে। ঝাড়খণ্ড, বিহার ও উত্তরপ্রদেশে শৈত্যপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বৃহস্পতিবার ঘন কুয়াশার চরম সর্তকতা জারি করা হয়েছে দিল্লি, পাঞ্জাব, হরিয়ানা ও চন্ডীগডড়ে। আরও দুই থেকে তিন ডিগ্রি তাপমাত্রা কমতে পারে উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে, এমনটাই জানিয়েছে মৌসম ভবন। এছাড়া বৃহস্পতিবার জম্মু-কাশ্মীরে নতুন করে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ঢুকবে বলেই জানা গিয়েছে। এর প্রভাবে সপ্তাহান্তে তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে পাহাড়ে। তবে এর মধ্যেই পুবালি হাওয়া ও ঘূর্ণাবর্তের জেরে দক্ষিণ ভারতের বেশ কিছু রাজ্যে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
এই শীতের আমেজ চুটিয়ে উপভোগ করছেন রাজ্যবাসী। সকালের দিকে কুয়াশা থাকায় দৃশ্যমানতা কম। তাই রাস্তায় লোকজন কম। কিন্তু বেলা বাড়লেই কুয়াশা সরে গিয়ে আকাশ পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে ঠান্ডার আমেজ। তাই বড়দিনের আগে জমিয়ে পিকনিক করার মতো মেজাজ শহরবাসীর। করোনা ভয় কিছুটা সরিয়ে মুখে মাস্ক বেঁধে ঘুরতেও যাচ্ছেন অনেকে। দার্জিলিং, কালিম্পং, কার্শিয়াঙে পর্যটকদের ভিড় বাড়ছে। কলকাতা চিড়িয়াখানা, নিকোপার্ক, ইকো পার্ক,উত্তর২৪ পরগনার পারমাদন ফরেষ্ট এ বেশ ছুটি ছুটি মেজাজ।