দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ মাঝে একদিন দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে শাখা পলা পরা অবস্থায় মদন মিত্রের সঙ্গে তাঁর ছবি নিয়ে খুব হই চই হল। সঙ্গে ছিলেন অভিনেতা যশ দাশগুপ্ত। তার পর আজ অনেক দিন পর বসিরহাটে দেখা গেল তাঁকে।
তিনি সাংসদ ও অভিনেত্রী নুসরত জাহান জুহি।
সাংসদ এলাকা উন্নয়ন তহবিলের অর্থে একটি গভীর নলকূপ তৈরি হয়েছে। হলুদ কাঁচি দিয়ে সবুজ ফিতে কেটে সেই নলকূপের উদ্বোধন হল।
রাজনীতির দস্তুর হল, বিধায়ক ও সাংসদদের মানুষ পারলে রোজই এলাকায় দেখতে চান। বসিরহাট ব্যতিক্রম নয়। তাঁদের সাংসদ সেলিব্রিটি। সিনেমায়, হইচইয়ে, পেজ থ্রিতে, টুইটারে তাঁকে যত দেখা যায়, এলাকায় ততটা নয় বলে অভিমান আছে কারও কারও। আবার এলাকায় একবার পৌঁছলে তাঁরা কতটা আহ্লাদে আটখানা হন, তাও দেখা গেল বিষ্যুদবার।
এ তো গেল এলাকাবাসীর কথা। বসিরহাটে নুসরতের বিশেষ না যাওয়া নিয়ে দলের মধ্যেও ক্ষোভ রয়েছে বলে শোনা যায়। ন্যাজাটে গুলি কাণ্ডের সময় তো শাসকদলেরই একাংশের নেতা বলতে শুরু করেছিলেন, নুসরত পুতুল সাংসদ। আসল তো এলাকা চালান শাহজাহান। যাঁর নাম ওই কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত হিসেবে উঠে এসেছিল।
এখন দুয়ারে ভোট। দোরগোড়ায় নলকূপ বসেছে। অনেকে মনে করছেন, সেই কারণেই এলাকায় উপস্থিতি জানান দেওয়া শুরু হয়েছে নেতা নেত্রীদের।
এদিকে নুসরতকে নিয়ে টলিউডের গসিপের খাতাও মোটা হচ্ছে। গত মাসে বনগাঁয় মমতা বন্দ্যপাধ্যায়ের জনসভায় দেখা গিয়েছিল নুসরতকে। তারপর থেকেই তাঁকে নিয়ে নানান গুঞ্জন শুরু হয়। নিখিল জৈনের সঙ্গে নুসরতের ছাড়াছাড়ি হচ্ছে কিনা তাই এখন মুখরোচক গল্প টলিপাড়ায়। এর মধ্যে জানা গিয়েছে, মাঝে কয়েক দিন অভিনেতা যশ দাশগুপ্তর সঙ্গে রাজস্থান ঘুরে এসেছেন নুসরত।
গত ৮ জানুয়ারি জন্মদিন ছিল অভিনেত্রী-সাংসদের। সেখানেও নাকি নিখিল ছিলেন না। কিন্তু বার্থ ডে পার্টি আলো করে ছিলেন যশ।
তুরস্কের বোদরুম শহরে ডেস্টিনেশন ওয়েডিং সেরেছিলেন নুসরত নিখিল। কিন্তু দেড় বছরের মধ্যেই সেই কোটি টাকার বিয়ে ভাঙনের মুখে বলে গুঞ্জন ছড়িয়েছে। এর মধ্যেই একে অন্যের ইনস্টাগ্রাম আনফলো করে বসেছেন নুসরত-নিখিল। কিন্তু বাইরে যতই জল্পনা চলুক, কৌতূহল বাড়ুক। এ নিয়ে নিখিল-নুসরত টুঁ শব্দটিও করেননি।