বনগাঁ শহরের যানজট সহ সীমান্ত বাণিজ্যে সংকট কাটাতে বৈঠক পেট্রাপোলের নোম্যান্সল্যান্ডে

0
734

দেশের সময় পেট্রাপোল: সম্প্রতি আমদানি কম করছে প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশ। ফলে পেট্রাপোল স্থলবন্দর এলাকার বিভিন্ন পার্কিং সহ বনগাঁ শহরের বিভিন্ন রাস্তা জুড়ে দীর্ঘদিন ধরে শ’য়ে শ’য়ে ট্রাক লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকছে৷ এর ফলে যেমন ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হচ্ছে অন্যদিকে বাড়ছে রপ্তানির খরচ। যার জেরে সমস্যায় পড়ছেন সীমান্ত বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ীরা।

দীর্ঘদিন ধরে সারি সারি ট্রাক বনগাঁ চাকদহ সড়ক, বনগাঁ বাগদা সহ যশোর রোডে দাঁড়িয়ে থাকায় যেমন যানজট হচ্ছে পাশাপাশি দুর্ঘটনায় মৃত্যুও হচ্ছে পথচারিদের ৷

দুর্ভোগে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এবার এই সমস্যা সমাধানে পদক্ষেপ গ্রহণ করলেন এপার বাংলা ওপার বাংলার প্রশাসনিক কর্তারা। মঙ্গলবার পেট্রাপোল- বেনাপোল বন্দরের শূন্য পয়েন্টে বৈঠক করলেন ভারত বাংলাদেশের প্রশাসনিক কর্তা ও সীমান্ত বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত প্রতিনিধিরা। 

সম্প্রতি দু’দেশের সরকারি প্রতিনিধিদের এ বিষয়ে হস্তক্ষেপের আবেদন জানিয়েছিলেন বলে জানালেন পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী।তিনি বলেন ভারত-বাংলাদেশের প্রতিনিধিদের এদিনের আলোচনায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, বাংলাদেশ প্রতিদিন ৬০০ থেকে ৭০০ গাড়ি নেবে। আগামী ১০ -১৫ দিনের মধ্যে সমস্যার সমাধান করবে।

এই বিষয়ে বনগাঁর পুর প্রশাসক গোপাল শেঠ বলেন, বাংলাদেশে প্রতিদিন আমদানি কম হওয়ার ফলে এপার বাংলায় ট্রাক দাঁড়িয়ে থাকছে তার জেরে বনগাঁ শহরে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। সেই কারণেই মঙ্গলবার বৈঠকে দুই দেশের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে ৬০০ থেকে ৭০০ ট্রাকে আমদানি করার আহ্বান জানানো হয়েছে বাংলাদেশের প্রশাসনিক কর্তাদের কাছে। আগামী ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যেই এই সমস্যার সমাধান হবে বলে বাংলাদেশের তরফ থেকে  জানানো হয়েছে। একই কথা শোনা যায় বাংলাদেশের প্রতিনিধিদের কাছ থেকে ৷ এখন দেখার আগামী ১৫দিনের মধ্যে বনগাঁ শহরের যানজট সহ সীমান্ত বাণিজ্যের এই সংকট কাটাতে কতটা সক্ষম হয় দু’দেশের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ !

Previous articleবিধি মেনেই খুলল স্কুল, অশোকনগর থেকে বনগাঁ মাতল ক্লাসে ফেরার আনন্দে
Next articlePurvanchal Expressway Inauguration: খুলে গেল পূর্বাঞ্চল এক্সপ্রেসওয়ে, মোদীর সভা, উধাও সরকারি বাস, যোগীকে নিশানা বিরোধীদের

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here