জ্যোতিপ্রকাশ ঘোষ,বনগাঁ: পূর্বরেলের শিয়ালদা-বনগাঁ শাখা একটি অন্যতম জনপ্রিয় ও জনবহুল রেলপথ। বনগাঁ মহকুমার সীমান্তবর্তী একাধিক গ্রামের বাসিন্দাদের কলকাতা সহ প্বার্শবর্তী জায়গাগুলিতে কম সময়ে যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম হল এই রেলপথ। স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, এই মহকুমার অন্তর্গত আঙরাইল, ঝাউডাঙা, বর্ণবেড়িয়া, সাতভাই কালিতলা প্রভৃতি গ্রামগুলির বাসিন্দাদের শিয়ালদা কিংবা রানাঘাট লোকাল ধরতে গেলে সরাসরি স্টেশনে আসার কোনো সরকারী পরিবহণ ব্যবস্থা নেই। একটু দূরে মেন রোডের উপর নেমে হাঁটা পথ বা পুনরায় ভ্যানে করে বনগাঁ রেলস্টেশনে পৌঁছাতে হয়। এর জন্য তাঁদেরকে সময় এবং অর্থ দুটোই বেশি অপচয় করতে হয়। এইক্ষেত্রে সবথেকে বেশি অসুবিধায় পড়তে হয় বঁনগা-শিয়ালদা লোকালের নিত্যযাত্রীদের।
নবান্নে কর্মরত বনগাঁর এক বাসিন্দা জানাচ্ছেন, তাঁকে প্রতিদিন সকালে নির্দিষ্ট সময়ের অন্তত ৪০ মিনিট আগে বাড়ির থেকে বেরিয়ে স্টেশনে পৌছে ৮.০৮ এর বঁনগা লোকাল ধরতে হয়। কিন্তু তাঁর বাড়ির কাছেই বেড়ি পাঁচপোতা-বনগাঁ মেনরোডের উপর ‘সাতভাই কালিতলা’ হয়ে বনগাঁ-পেট্রোপোল আন্তর্জাতিক রেলপথ চলে গিয়েছে, যে রেলপথ দিয়ে নিয়মিতভাবে ভারত বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক বিভিন্ন মালগাড়ি চলাচল করে। তাঁর দাবি, “এই সব এলাকার বাসিন্দাদের সুবিধার্তে বনগাঁ-পেট্রোপোল লাইনের প্রয়োজনীয় সংস্কার করে ‘সাতভাই কালিতলা’তে একটি রেলস্টেশন গড়ে তুলে শিয়ালদা-বঁনগা এবং রানাঘাট-বনগাঁ রেলপথের বেশ কিছু লোকাল ট্রেনকে পেট্রোপোল স্টেশন পর্যন্ত চালানো হোক।” ইতিমধ্যে স্থানীয় বাসিন্দাদের পক্ষ থেকে এই মর্মে একটি স্মারকলীপি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের মাধ্যমে রেলের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় মানুষ চাইছেন তাঁদের যাতায়াতের সুবিধার কথা বিবেচনা করে রেলমন্ত্রক দ্রুত এবিষয়ে সিন্ধান্ত নিক, তাহলে আঙরাইল, ঝাউডাঙা প্রভৃতি সীমান্তবর্তী গ্রামগুলির কয়েক লক্ষ মানুষ উপকৃত হবে।