দেশের সময়ওয়েবডেস্কঃ লখনউ থেকে তাঁর জন্য গলা ফাটাতে বনগাঁয় এসেছিলেন যোগী আদিত্যনাথ। কিন্তু ঠাকুরনগরের বাড়ি থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে ওই সভায় উপস্থিত থাকলেন না বনগাঁ কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী তথা প্রয়াত বড়মা বীণাপাণিদেবীর নাতি শান্তনু ঠাকুর।

মঙ্গলবার উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী এসেছিলেন বাংলায়। তিনিটি সভা করেন তিনি। কিন্তু বনগাঁর সভায় প্রার্থীই রইলেন না মঞ্চে। আর তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে তৈরি হয়েছে কৌতূহল। যোগীর সভায় শান্তনুর গরহাজির থাকা নিয়ে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব অবশ্য স্পষ্ট করে কিছু বলতে পারেননি।

স্থানীয় বিজেপি নেতা দেবদাস মন্ডল জানান শান্তনু অসুস্থ,তাঁর পেটের কোন সমস্যা হয়েছে, যদিও শান্তনুর বাবা মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুর সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, অসুস্থতার কারণেই যোগীর সভায় যেতে পারেননি তিনি। দু’দিন ধরে বাড়িতেই রয়েছেন শান্তনু। বনগাঁ আরএস মাঠে হিন্দুত্বের পোস্টার বয় সভা করতে এসে প্রার্থী নিয়ে বিশেষ কিছু বলেননি। কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলির কথা তুলে ধরেই বক্তৃতায় ইতি টানেন তিনি।

বড়মার মৃত্যুর পর মতুয়া ভোটকে পাখির চোখ করে শান্তনুকে প্রার্থী করে দেয় বিজেপি। কারণ ওই কেন্দ্রেই তৃণমূল প্রার্থী প্রয়াত কপিলকৃষ্ণ ঠাকুরের স্ত্রী তথা শান্তনুর জেঠিমা মমতাবালা ঠাকুর। পর্যবেক্ষকদের মতে, বনগাঁ কেন্দ্রে মতুয়া ভোট অন্যতম ফ্যাক্টর। ফলে দুই দলেরই টার্গেট সেই ভোট।

সোমবারের সভায় বহু মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষ ভিড় জমিয়েছিলেন সভায়। কিন্তু শান্তনুর অনুপস্থিতিতে তাঁরাও আশাহত হন। তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য এই ঘটনায় অন্য গন্ধ পাচ্ছে। শাসক দলের নেতারা প্রকাশ্যে কিছু না বললেও, ঘরোয়া আলোচনায় অনেকেই মনে করছেন, শান্তনুর সঙ্গে বিজেপি নেতৃত্বের বিশেষ কোন বোঝাপড়ার সমস্যা হয়েছে। সেই কারণেই যাননি শান্তনু। ৬ মে ভোট গ্রহণ হবে বনগাঁ কেন্দ্রে। সোমবার ওই ঘটনার পর এখন দেখার শান্তনু কবে বাড়ি থেকে বেরিয়ে প্রচারে নামেন। এখন সেটাই দেখার।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here