দেশের সময়ঃ এক সময় বনগাঁ জুড়ে তোলপাড় ফেলে দিয়েছিল সূর্য খুনের ঘটনা। কুড়ি বছর পর ফের সেই মামলার তদন্ত শুরু হল। সূর্যর পরিবারের আবেদনের ভিত্তিতেই নতুন করে এই মামলার তদন্তের আদেশ দিল আদালত।
বুধবার বনগাঁ মহকুমা পুলিশ আধিকারিক অশেষবিক্রম দস্তিদার আদালত চত্বরে দাঁড়িয়ে বলেন, ১৯৯৯ সালের ৪ নভেম্বর রাত দশটা নাগাদ কিছু অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতীদের হাতে নৃশংসভাবে খুন হন মতিগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা সিদ্ধার্থ শংকর রায় চৌধুরী। পরদিন সকালে মৃতদেহ উদ্ধার হয় এলাকার একটি ডোবা থেকে। একটি খুনের ঘটনায় ৩০২ সহ একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করে তদন্তে নেমে পুলিশ দেবদাস মন্ডল ৮ জনকে গ্রেফতার করে।
প্রত্যেকেই নব্বই দিন জেল খাটে। এর মধ্যে চার্জশিট জমা না পড়ায় অভিযুক্তরা সবাই জামিনে মুক্ত হয় । এরপর কেটে গেছে বেশ কয়েক বছর। মঙ্গলবার সূর্যর ছোট ভাই সৌমেন্দ্র রায় চৌধুরী বনগাঁ আদালতে একটি পিটিশন জমা দিয়ে আবেদন করেন যে তার দাদার খুনের ঘটনার এখনো বিচার হলো না।
সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে সমস্ত নথি বের করে এই মামলার পরবর্তী প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশ দেয় । তারই প্রেক্ষিতে এদিন কোর্টে আসেন পুলিশ আধিকারিকেরা। আদালতের প্রধান সরকারি আইনজীবী সমীর দাস বলেন ২০১৫ সালের পর থেকে আশ্চর্যজনকভাবে এই মামলার বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায় ।
আমরা খোঁজ নিয়ে জানতে পারি এই মামলার সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র সব খোয়া গেছে। আমাদের সন্দেহ আদালতেরই কর্মীরা এর সঙ্গে যুক্ত। এ ব্যাপারে তদন্ত করে কাগজ উদ্ধারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে ।
অন্যদিকে এই খুনের ঘটনায় অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত , বর্তমানে বিজেপির বারাসাত সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি দেবদাস মন্ডল বলেন, রাজনৈতিক স্বার্থে এই ঘটনাকে নতুন করে তুলে নোংরা রাজনীতি করতে চাইছে তৃণমূল। বিষয়টি যেহেতু আদালতের বিচারাধীন তাই এ সম্পর্কে আর বেশি কিছু বলতে চাননি তিনি। প্রায় কুড়ি বছর পর নতুন করে সূর্য খুনের মামলা নিয়ে নাড়াচাড়া শুরু হওয়ায় বনগাঁর রাজনৈতিক মহলে তোলপাড় শুরু হয়েছে।