ফের ভাঙল করোনা সংক্রমণের রেকর্ড,বাংলায় একদিনে ১৯০০ আক্রান্ত

0
1049

দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ ফের ভাঙল সংক্রমণের রেকর্ড। বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য ভবনের বুলেটিন জানিয়েছিল, একদিনে রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৬৯০ জন। শুক্রবার সেই সংখ্যাটাও ভেঙে গেল। শুক্রবার স্বাস্থ্য ভবনের বুলেটিন অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৮৯৪ জন, যা এযাবৎ রেকর্ড। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ২৬ জনের।

শুক্রবার স্বাস্থ্য ভবনের বুলেটিন অনুযায়ী রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৩৮ হাজার ০১১ জন। পাশাপাশি জানা গেছে, রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গিয়েছেন ২৬। জন। ফলে এই পর্যন্ত রাজ্যে মোট করোনা নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা এই মুহূর্তে ১০৪৯। এঁদের মধ্যে অবশ্য ৮৬৩ জনেরই শরীরে করোনা ছাড়াও অন্যান্য কোমর্বিডিটি ছিল।

স্বাস্থ্য ভবনের বুলেটিন জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে সেরে উঠেছেন ৮৩৮ জন আক্রান্ত। ফলে মোট কোভিডজয়ীর সংখ্যা দাঁড়াল ২২ হাজার ২৫৩ জন। অর্থাৎ এই মুহূর্তে বাংলায় করোনা অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা ১৪ হাজার ৭০৯ জন। রাজ্যে এই মুহূর্তে ডিসচার্জ রেট ৫৮.৫৪ শতাংশ। গত দু’দিনে ডিসচার্জ রেট কমেছে ১.৫২ শতাংশ। ক্রমাগত দু’দিন রেকর্ড সংখ্যক সংক্রমণ হওয়ায় এই সুস্থতার হার কিছুটা কমেছে।

জেলাওয়াড়ি সংক্রমণের পরিসংখ্যানে আজও এগিয়ে আছে সেই কলকাতাই। ৫৬৩ জন সংক্রামিত হয়েছেন গত ২৪ ঘণ্টায়। তার পরেই আছে উত্তর ২৪ পরগনা, সংক্রমণের সংখ্যাটা ৪৪৩। এর পরেই আছে হাওড়া ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা। এই দুই জেলায় গত এক দিনে সংক্রমণের সংখ্যা যথাক্রমে ১৮২ ও ১৬০। হুগলিতে ৮৩ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন।

উত্তরবঙ্গের জেলাগুলির মধ্যে সংক্রমণ বেশি দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদা ও দার্জিলিংয়ে। দক্ষিণ দিনাজপুরে আক্রান্তের সংখ্যা ৮৯। মালদায় আক্রান্ত ৮৮ ও দার্জিলিংয়ে আক্রান্তের সংখ্যা ৭৪। এছাড়া জলপাইগুড়িতে ৩১ জন ও উত্তর দিনাজপুরে ২৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন গত ২৪ ঘণ্টায়।

গত ২৪ ঘণ্টায় ২৬ জন মৃতের মধ্যে ১২ জনই কলকাতার। এছাড়া উত্তর ২৪ পরগনায় মৃত্যু হয়েছে ৭ জনের। হাওড়ায় ৩ জন, হুগলি, পূর্ব মেদিনীপুর, নদিয়া ও দক্ষিণ দিনাজপুরে ১ জন করে মারা গিয়েছেন গত ২৪ ঘণ্টায়।

এদিনের বুলেটিন বলছে গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে ১৩ হাজার ২৪০ জনের টেস্ট হয়েছে। সব মিলিয়ে মোট ৬,৭৬,৩৪৮ টি টেস্ট হয়ে গেল রাজ্যে এ পর্যন্ত। প্রতি দশ লক্ষ জনঘনত্বের নিরিখে টেস্টের সংখ্যা ৭৫১৫। ৫৪টি ল্যাবে হচ্ছে পরীক্ষা, ৮১টি হাসপাতালে হচ্ছে চিকিৎসা। ৫৮২টি সরকারি কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে মোট ৩৮৩৯ জন রোগী রয়েছেন। গতকাল নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, বাংলায় টেস্টের সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে। ফলে সংক্রমণের সংখ্যা আরও খানিকটা বাড়তে পারে। এতে রাজ্যবাসীকে আতঙ্কিত না হতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

Previous articleউচ্চ মাধ্যমিকের ফলপ্রকাশ, মেধাতালিকা অপ্রকাশিত হলেও রেকর্ড পাশের হার,শীর্ষে কলকাতা
Next articleঐশ্বর্যা রাই বচ্চনও কোভিড পজিটিভ ভর্তি করা হল হাসপাতালে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here