দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ ফের ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা শহরে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই আংশিক মেঘাচ্ছন্ন থাকবে আকাশ। জানা গিয়েছে, দুপুরেই ঘনিয়ে আসতে পারে আঁধার। নামতে পারে বজ্র বিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি। বিগত কয়েকদিন ধরে প্রবল গরমে নাজেহাল বঙ্গবাসী। সেই অস্বস্তি কিছুটা কম হতে পারে এদিনের বৃষ্টির পর।
আলিপুর সূত্রে জানা গিয়েছে, আজ শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকার কথা ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিকে গতকাল শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের তুলনায় দুই ডিগ্রি বেশি। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৫.৭ ডিগ্রি। যা স্বাভাবিকের তুলনায় এক ডিগ্রি কম। ২ mm বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাতও হয়। যদিও বাতাসে আপেক্ষিক আদ্রতার সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন পরিমাণ ছিল ৭৫ এবং ৬৭। ফলে অসহনীয় গরম অনুভূত হয় গতদিন।
আইএমডি কলকাতার ওয়েবসাইট অনুযায়ী, আগামী চারদিন কমবেশি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। শুক্রবার বিদ্যুৎ সহ হালকা বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। সূত্রের খবর, ২৩ মে অবধি বৃষ্টিভেজা থাকার কথা কলকাতার আকাশ। ২৪ মেঘাচ্ছন্ন থাকবে আকাশ। ২৫ মে ফের মেঘমুক্ত আকাশ দেখা গেলেও, ২৬ তারিখ ফের নামতে পারে বৃষ্টি। উল্লেখ্য, মঙ্গলবার রাতেও কলকাতা ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় ঝড়বৃষ্টি হয়। কিন্তু, কিছুক্ষণের জন্য স্বস্তি মিললেও ভ্যাপসা গরম থেকে রেহাই পাননি বঙ্গবাসী।
এদিকে, বঙ্গোপসাগরে জন্ম নিচ্ছে এক ঘূর্ণিঝড়। আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা যাচ্ছে, আগামী ২২ মে নাগাদ উত্তর আন্দামান সাগর ও পূর্ব বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ অক্ষরেখা তৈরি হবে। যা পরবর্তীতে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। ঝড়ের অভিমূখ হতে পারে বাংলার দিকে।
সূত্রের খবর, এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম ‘যশ’। তবে, যতক্ষণ না ঘূর্ণিঝড় পরিণত হচ্ছে, ততক্ষণ আনুষ্ঠানিকভাবে সাইক্লোনের নামকরণ ঘোষণা করা হচ্ছে না হাওয়া অফিসের পক্ষ থেকে।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, সাগরে ঘনীভূত নিম্নচাপ অক্ষরেখা ধীরে ধীরে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। এরপর ঘূর্ণিঝড় উত্তর পশ্চিম দিকে এগোবে। আগামী ২৬ মে সন্ধ্যায় পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশা উপকূলে পৌঁছবে সাইক্লোন। আগামী ২৫ মে সন্ধে থেকেই হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি শুরু হবে। পরবর্তী সময়ে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে।