পাঁচ ঘণ্টা সিবিআই-এর জেরা, নিজাম প্যালেস থেকে বেরিয়ে কী বললেন দেব?

0
1041

দেশের সময় ওয়েব নির্দেশ অনুযায়ী সকাল ১১টায় নিজাম প্যালেসে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের দপ্তরে হাজির হয়েছিলেন তৃণমূলের সাংসদ-তারকা দীপক অধিকারী ওরফে দেব।

প্রায় পাঁচ ঘন্টা পরে শেষ হল সিবিআই-এর জেরা, নিজাম প্যালেস থেকে বেরোলেন অভিনেতা-সাংসদ দেব। বেরোনোর পরে তিনি জানান, তাঁকে যা জিজ্ঞেস করা হয়েচে, তিনি বলে দিয়েছেন।

সিবিআইয়ের তলবে আজ হাজিরা দিয়েছিলেন দীপক অধিকারী তথা দেব। আজ, মঙ্গলবার সকালে নিজাম প্যালেজে পৌঁছেছিলেন তিনি। গত ৯ ফেব্রুয়ারি গরু পাচার কাণ্ডে জেরার জন্য তাঁকে নোটিস ধরিয়েছিল সিবিআই। ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল তাঁকে। সেই মতোই আজ আসেন তিনি।

৫ ঘণ্টা ধরে একটানা জেরা করা হয়েছে তাঁকে। বেরোনোর পরে দেব বলেন, “আমাকে যা জিজ্ঞেস করা হয়েছে সবটাই উত্তর দিয়েছি। আমার যা বক্তব্য জানিয়েছি সিবিআইকে।” এর পরে তাঁকে আবার কবে আসতে হবে, এ বিষয়ে সিবিআই কিছু বলেনি বলেই জানিয়েছেন দেব।

বেরোনোর পরে তিনি বলেন, গরু পাচার কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত এনামুল হককে নিয়ে প্রশ্ন করা হয় তাঁকে। তিনি এনামুলকে চেনেনই না বলে জানিয়েছেন সিবিআই-কে, তাঁর থেকে কোনও উপহার নেওয়া দূরের কথা। তিনি বলেন, “একটা মানুষকে চিনি কি চিনি না, সেটা নিয়েই আলোচনা হল। আমার স্টেটমেন্ট নিয়েছে, আমি যেভাবে পারব সহযোগিতা করব। আমাকে আর ডাকা হয়নি, মনে হয় হবে না।”

জানা গেছে, দু’দফায় জেরা করা হয়েছে দেবকে, রেকর্ড করা হয়েছে গোটা বয়ান।

বহুদিন ধরেই বিরোধীদের অভিযোগ ছিল, গরু ও বেআইনি কয়লা পাচারের টাকা টলিউডে খাটছে। সেই টাকা ছবি প্রযোজনার কাজে ব্যবহার করে সাদা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। এমনকী বিরোধীরা অনেকে অভিযোগ করেন মুর্শিদাবাদের এক নেতার সঙ্গে টলিউডের এক প্রযোজকের দহরম-মহরম সম্পর্ক।
তবে ঘাটালের সাংসদ দেব তথা দীপক অধিকারীর বিরুদ্ধে স্পষ্ট ও নির্দিষ্ট কোনও অভিযোগ রয়েছে কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়। সিবিআই সূত্রে শুধু এটুকুই জানা গিয়েছে যে বেআইনি গরু পাচার কাণ্ডের তদন্তের সূত্রেই তাঁকে তলব করা হয়েছে।

সেই সঙ্গে এও জানা গিয়েছে, গরু পাচার কাণ্ডে জড়িত সন্দেহে ইতিমধ্যে যাঁদের জেরা বা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে, তাঁরা অনেকেই কোনও না কোনও প্রসঙ্গে দেবের নাম করেছেন। সেই সব তথ্যকে সামনে রেখেই দেব জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইছেন সিবিআই কর্তারা।

একুশের বিধানসভা ভোটের আগে বেআইনি গরু ও কয়লা পাচার কাণ্ড নিয়ে তদন্তে সিবিআই এবং ইডির তৎপরতা দেখা গিয়েছিল। ভোটের পর দৃশ্যত ততটা সক্রিয় দেখা যায়নি দুই কেন্দ্রীয় তদন্ত এজেন্সিকে। কিন্তু হালফিলে ফের সিবিআইকে কিছুটা তৎপর দেখা যাচ্ছে।

Previous articleLaluprasad Yadav: পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি মামলায় নতুন করে দোষী সাব্যস্ত লালুপ্রসাদ যাদব, ফের জেলে ফেরার সম্ভাবনা
Next articleসন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের জীবনাবসান, শোকের ছায়া নেমেছে সঙ্গীত জগতে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here