দেশের সময়ওয়েবডেস্কঃ সরকারি কর্মীদের নতুন বেতন কাঠামো অনুমোদন করেছে রাজ্য মন্ত্রিসভা। জেনে নিন মন্ত্রিসভার অনুমোদনের পরে কী কী বদল হল সুপারিশে।
১। বেতন কমিশন যে ২.৫৭ ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর পদ্ধতি প্রয়োগ করে বেতন বৃদ্ধির সুপারিশ করেছে, সে কথা আগেই জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার রাজ্য মন্ত্রিসভা সে সুপারিশ কার্যকর করার সিদ্ধান্তও নেওয়া হল।
২। বর্ধিত কাঠামো অনুযায়ী গত চার বছরের বকেয়া বেতন যে কর্মীরা পাচ্ছেন না, তা স্পষ্ট করে দিয়েছে সরকার।
৩। গ্র্যাচুয়িটি, মেডিক্যাল অ্যালাওয়েন্স-সহ কয়েকটি ক্ষেত্রে অবশ্য কমিশনের সুপারিশের চেয়ে কিছুটা বেশি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য।
৪। রাজ্য সরকারি কর্মীদের মূল বেতনে ব্যান্ড পে-গ্রেড পে ভাগাভাগি আর থাকছে না, অবিভক্ত মূল বেতন কাঠামো চালু হচ্ছে।
৫। বর্তমান মূল বেতনকে ২.৫৭ দিয়ে গুণ করে নতুন মূল বেতন ধার্য করা হচ্ছে। সেই অঙ্ক বর্তমানের মূল বেতন ও মহার্ঘ ভাতার যোগফলের থেকে একটু বেশি।
৬। এত দিন যে ১২৫ শতাংশ ডিএ রাজ্য সরকারি কর্মীরা পাচ্ছিলেন, তা মূল বেতনে মিশে গেল।
৭। নতুন বেতন কাঠামোকে কার্যকর হিসেবে ধরা হবে ২০১৬-র ১ জানুয়ারি থেকে। কিন্তু বর্ধিত বেতন কর্মীরা হাতে পাবেন ২০২০-র ১ জানুয়ারি থেকে।
৮। ২০১৬-র ১ জানুয়ারি থেকে নতুন বেতন কাঠামোর ‘নোশনাল এফেক্ট’ ধরা হবে।
৯। আগে মূল বেতনের ১৫ শতাংশ টাকা এইচআরএ হিসেবে পেতেন কর্মীরা। বেতন কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী তা কমিয়ে ১২ শতাংশ করা হয়েছে। এইচআরএ-র সর্বোচ্চ সীমা ১২ হাজার টাকা।
১০। মেডিক্যাল অ্যালাওয়েন্স মাসে ৩০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০০ টাকা করে দেওয়া হবে।