দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ ভোটের লড়াই যতটা মাঠের ততটাই কৌশলেরও। বিজেপি প্রার্থী খুঁজে পাচ্ছে না বলে জনসভায় ও সোশাল মিডিয়ায় ইদানীং জোরদার প্রচার করেছে তৃণমূল। তেমনই পাল্টা কৌশলে বিজেপি নতুন সন্দেহ চারিয়ে দিতে চাইছে ভোট বাজারে।
নন্দীগ্রামের লড়াই যে কঠিন তা বহু পর্যবেক্ষকই বলছেন। বিজেপির দাবি, নন্দীগ্রামে হারতে চলেছে তৃণমূল। দলের মুখপাত্র তথা কেন্দ্রীয় সহ পর্যবেক্ষক অমিত মালব্যর কথায়, “পিসি নন্দীগ্রামে হারতে চলেছেন। ফলে তৃণমূল এখন মহা ধন্দে। ওরা বুঝে উঠতে পারছে না যে উনি নন্দীগ্রামের ভোটের পর দ্বিতীয় কোনও আসনের জন্য মনোনয়ন পেশ করবেন কিনা।” অমিতের কথায়, ধন্দ এ কারণেই, যে দ্বিতীয় আসনে প্রার্থী হলে আবার লোকে ধরে নেবে হার স্বীকার করে নিল তৃণমূল।
The big dilemma in TMC.
— Amit Malviya (@amitmalviya) March 22, 2021
Now that Pishi is expectedly losing Nandigram, they aren’t sure if she should file nomination for a second seat in the later phases, after polling in Nandigram is done.
It may help her but sink their party as it would be seen as admission of defeat…
এটা ঠিক যে নন্দীগ্রামে তৃণমূল এখন সমস্ত শক্তি ঢেলে দিয়েছে। মন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু এবং দোলা সেনকে নন্দীগ্রামে বসিয়ে রাখা হয়েছে। রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীও কার্যত কলকাতা নন্দীগ্রাম ডেইলি প্যাসেঞ্জারি করছেন। তা ছাড়া যুব সংগঠনের প্রায় এক ডজন জেলা সভাপতি, বিধায়ককে প্রচারে পাঠানো হয়েছে নন্দীগ্রামে।
যেমন রবিবার ও সোমবার নন্দীগ্রামে প্রচারে পাঠানো হয়েছে তালড্যাংরার বিদায়ী বিধায়ক সমীর চক্রবর্তীকে। তা ছাড়া দক্ষিণ কলকাতার অনেক দ্বিতীয় সারির নেতাকেও নন্দীগ্রামে যেতে বলা হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্ভবত প্রচার শেষের আগে দুদিনের জন্য সেখানে যাবেন।
ওদিকে নন্দীগ্রামে বিজেপির প্রচার কার্যত একা ধরে রেখেছেন শুভেন্দু অধিকারী। পরশু কাঁথিতে সভা করার কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। তার প্রভাব কিছুটা নন্দীগ্রামে পড়বে বলে অনেকে মনে করছেন। তা ছাড়া শেষ বেলায় অমিত শাহ ও যোগী আদিত্যনাথ প্রচারে যেতে পারেন নন্দীগ্রামে।
ফলে লড়াই যে সেখানে খুবই কঠিন তা নিয়ে কারও সংশয় নেই। এই পরিস্থিতিতে প্রার্থী তালিকা ঘোষণার সময়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একবার হেঁয়ালি করে বলেছিলেন, যে টালিগঞ্জেও তিনি প্রার্থী হতে পারেন। টালিগঞ্জ আসনের জন্য মনোনয়ন পেশের শেষ দিন হল ২৩ মার্চ, মঙ্গলবার।
কিন্তু বিজেপি মনে করছে, দ্বিতীয় কোনও আসনে লড়তে চাইলে সপ্তম বা অষ্টম দফার ভোটের জন্য মনোনয়ন পেশ করতে পারেন মমতা।
তৃণমূলের এক রাজ্য নেতা অবশ্য ঘরোয়া আলোচনায় বলেন, দিদি দ্বিতীয় কোনও আসনে প্রার্থী হবেন বলে মনে হচ্ছে না। তবে হ্যাঁ, উনি কী ঠিক করবেন সেটা তো আর কাউকে আগাম বলেন না। নন্দীগ্রামে তিনি প্রার্থী হবেন সেটা তো বক্সীদাও সম্ভবত জানতেন না!