দেশের সময় ওয়েবডেস্ক: নতুন বছরে দেশের অধিকাংশ এটিএম কাউন্টার বন্ধ হওয়ার পাশাপাশি বেশ কয়েক ধরণের ডেবিট, ক্রেডিট কার্ডও কাজ করবে না বলে জানা যাচ্ছে। যে সব ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ডে চুম্বকীয় ক্ষেত্র রয়েছে, সেই কার্ডগুলি ১ জানুয়ারি থেকে বিকল হয়ে যাবে। ২০১৫ সালে তিন বছর সময় হাতে নিয়ে এমনই এক নির্দেশিকা দিয়েছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। আরবিআইয়ের তখন পক্ষ থেকে জানানো হয়, চুম্বকীয় ক্ষেত্রের পরিবর্তে ইএমভি নামক বিশেষ এক ধরনের চিপ কার্ডে লাগাতে হবে। যা এ বছরের ৩১ ডিসেম্বরের পর থেকে একমাত্র কার্ড হিসাবে বাজারে থাকবে। আরবিআই জানিয়েছে, গ্রাহকরা অযথা ভয় না পেয়ে যত শীঘ্র সম্ভব তাঁদের পুরনো কার্ড ব্যাঙ্কে গিয়ে বদল করে নিন। ইএমভি চিপ বসানো ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড বেশি সুরক্ষিত এবং এই কার্ডের ফলে ব্যাঙ্ক প্রতারণাও অনেক কমবে বলে আশা করছে আরবিআই। ২০১৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর দেশের সব ব্যাঙ্কে ওই নির্দেশ কার্যকর করা হয়। ২০১৫ সালের ২৭ আগস্ট এ সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি করে আরবিআই এবং দেশের সব ব্যাঙ্কগুলিকে কার্ড পরিবর্তনের তিনবছরের সময় সীমা বেঁধে দেওয়া হয়

আরবিআইয়ের জারি করা ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছিল যে, আন্তঃরাজ্য ও আন্তজার্তিক দুই ক্ষেত্রেই ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডে ইএমভি চিপ বসাতে হবে এবং কার্ডগুলি পিন–ভিত্তিক কার্ড হতে হবে। ব্যাঙ্কগুলি ক্রমাগত তাঁদের গ্রাহকদের নতুন কার্ড করে নেওয়ার মেসেজও পাঠিয়ে গিয়েছে। তবে গ্রাহকদের মনে প্রশ্ন আসতেই পারে ইএমভি চিপ কী‌ বা এতদিন যে কার্ডটি ব্যবহার করলাম তা সুরক্ষিত নয় কেন?‌

ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডের ক্ষেত্রে চিপ কার্ড হল সবচেয়ে সুরক্ষিত। ইউরো পে, মাস্টার কার্ড এবং ভিসাতে ছোট মাইক্রোচিপ সহ এই ইএমভি থাকে, যা গ্রাহককে বিভিন্ন ধরনের ভুয়ো লেনদেন থেকে সুরক্ষিত রাখে। এখন প্রশ্ন জাগতে পারে গ্রাহকরা কী করে বুঝবেন তাঁদের কার্ডে ইএমভি আদৌ রয়েছে কিনা? ‌খুব সহজেই এটা বোঝা যায়। কার্ডের সামনের দিকে বিশেষ করে বাঁ–দিকে সোনালী রঙের চিপ থাকে, যেটাকে বলা হয় ইএমভি চিপ। এ ধরণের চিপ এবং পিন কার্ডের সাহায্যে কোনও প্রতারণা বা জালিয়াতি সহজে করা যায় না। এ ধরনের কার্ড নকল করার ক্ষেত্রেও বেশ কঠিন হয়। তাই গ্রাহকদের যদি কার্ড হারিয়ে যায় বা চুরি হয়ে যায় সেক্ষেত্রেও টাকা লোপাট হওয়ার ভয় অনেকটাই কম থাকে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here