দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ: দিল্লি পুলিশের হেড কনস্টেবল সীমা ধাকা। রাতারাতি প্রোমোশন পেয়েছেন এই মহিলা কনস্টেবল। কারণ কার্যত অসাধ্যসাধন করেছেন তিনি। তিন মাসে ৭৬ জন শিশুকে উদ্ধার করেছেন সীমা। তাদের মধ্যে ৫৬ জনের বয়স ১৪ বছরের কম। কেবল দিল্লি নয়, বিভিন্ন রাজ্য যেমন পঞ্জাব, পশ্চিমবঙ্গ ও আরও অনেক রাজ্য থেকে এই শিশুদের উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দিল্লি পুলিশ।
দিল্লির পুলিশ কমিশনার এস এন শ্রীবাস্তব মাস তিনেক আগে একটি ইনসেনটিভ স্কিম ঘোষণা করেছিলেন। পুলিশকর্মীদের উৎসাহ দেওয়ার জন্য সেই স্কিমে বলা হয়েছিল, নিখোঁজ শিশুদের খুঁজে আনতে পারলে রাতারাতি পদোন্নতি হবে। চলতি বছর ৫ অগস্ট এই স্কিম ঘোষণা করেন দিল্লির পুলিশ কমিশনার। এর পরই বাড়ি থেকে নিখোঁজ হওয়া শিশুদের খুঁজে বের করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছিলেন হেড কনস্টেবল সীমা। পুলিশ কমিশনার শ্রীবাস্তব অবশ্য নিজের স্কিমে কনস্টেবল এবং হেড কনস্টেবলদের এক বছর সময় দিয়েছিলেন। শর্ত ছিল ৫০ বা তার বেশি সংখ্যক শিশুকে খুঁজে বের করতে হবে যাদের বয়স ১৪ বছরের কম। মাত্র তিন মাসেই সেই কাজ করে দেখিয়েছেন সীমা।
দিল্লি পুলিশের এমন অভিনব স্কিমে এও বলা হয়েছিল যে ওই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ৮ বছরের কম বয়সী ১৫ জন বা তার বেশি শিশুকে উদ্ধার করতে পারলে মিলবে ‘অসাধারণ কার্য পুরস্কার’। দিল্লি পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে এই ইনসেনটিভ স্কিম ঘোষণার পর থেকে অতি তৎপর হয়েছেন পুলিশকর্মীরা। অগস্ট মাস থেকে নিখোঁজ শিশু উদ্ধার হওয়ার পরিসংখ্যান একলাফে অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, রাজধানী শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে নিখোঁজ হয়েছিল এই ৭৬ জন শিশু। দিল্লির বিভিন্ন থানার সঙ্গে যোগাযোগ করে হেড কনস্টেবল সীমা সেই সব মিসিং রিপোর্ট সংগ্রহ করেছিলেন। তার পর শুরু হয় তদন্ত। একাধিক রাজ্যে ছানবিনের পর কার্যত আড়াই মাসেই মধ্যেই দিল্লি সংলগ্ন বিভিন্ন রাজ্য থেকে এই শিশুদের খুঁজে বের করেছেন সীমা।
গতবছর অর্থাৎ ২০১৯ সালের পরিসংখ্যান অনুসারে ৫৪১২ জন শিশু নিখোঁজ হয়েছে।
এদের মধ্যে ৩৩৩৬ জনকে খুঁজে বের করা সম্ভব হয়েছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, নিখোঁজ হওয়া বাচ্চাদের মধ্যে ৬২ শতাংশ শিশুকে খুঁজে বের করেছে দিল্লি পুলিশ। এ বছর অক্টোবর পর্যন্ত ৩৫০৭ জন শিশু নিখোঁজ হয়েছে। আর উদ্ধার হয়েছে ২৬২৯ জন।