ইস্টবেঙ্গল- ১ (২) গোকুলাম-১ (৩)
(সামাদ আলি) (মার্কাস-পেনাল্টি)
নিজস্ব প্রতিবেদন- গোকুলামের বিরুদ্ধে টাইব্রেকারে ৩-২ গোলে হেরে ডুরান্ড থেকে বিদায় নিল ইস্টবেঙ্গল। লাল-হলুদের হয়ে
ট্রাইব্রেকারে গোল মিস করেন লালরিন ডিকা, কোলাডো ও নওরেম। এক গোলে এগিয়ে থাকার পরেও শেষ পর্যন্ত হেরে মাঠ
ছাড়তে হল আলেজান্দ্রোর ছেলেদের।
ম্যাচের ১৮ মিনিটে ফলো আপে বল ধরে প্রায় ২৫ গজ দূর থেকে দুরন্ত শটে গোল করে লাল-হলুদকে এগিয়ে দেন সামাদ
আালি মণ্ডল।
প্রথমার্ধের শেষ পাঁচ মিনিটে অবশ্য কিছুটা ঝিমিয়ে পড়ে লাল-হলুদ। সেই সুযোগেই আক্রমণের ঝড় তোলে আলেজান্দ্রোর
ছেলেরা।
বিরতির সময় এক গোলে এগিয়ে ছিল আলেজান্দ্রোর ছেলেরা। বিরতির পরেও ম্যাচের রাশ নিজেদের দখলে রাখে গোকুলাম।
ম্যাচের ৫২ মিনিটে একটি প্রতি-আক্রমণে দুটো স্টপারের ভুলে একটি বল পেয়ে যান হেনরি কিসেক্কা। কিন্তু তাঁর নেওয়া দূর্বল
শট বাঁচিয়ে দেন মিরর্শাদ।
বিরতির পরে ব্রেন্ডনের পরিবর্তে নওরেম মাঠে নামেন। বিদ্যাসাগরের পরিবর্তে হাওকিপ নামেন। তবুও ম্যাচের রাশ নিজেদের
দখলে নিতে পারেনি লাল-হলুদ। তার আগে অবশ্য রেফারির সবুজ-সঙ্কেত না নিয়ে নেমে হলুদ কার্ড দেখেন বিদ্যাসাগর।
নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার আগে গোকুলাম চেপে ধরে ইস্টবেঙ্গলকে। গোকুলামের পরিবর্ত খেলোয়াড় ব্রনো অগস্তো একটি সহজ
গোলের সুযোগ নষ্ট করেন। তাঁর নেওয়া গড়ানো শট অল্পের ওপর দিয়ে বেরিয়ে যায়। ওই পর্বে পরপর আক্রমণ তৈরি করে
গোকুলাম। নির্ধারিত সময়ের অতিরিক্ত সময় শেষ হওয়ার দু’মিনিট আগেই বিপদ ঘটে ইস্টবেঙ্গলের।
ছ’মিনিট অতিরিক্ত সময় শেষ হওয়ার আগে হেনরির হাত ধরে ধরেন মেহতাব সিং। রেফারি তাঁকে লাল কার্ড দেখান ও
পেনাল্টি দেন। গোকুলামকে পেনাল্টি উপহার দেন মেহতাব।
শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে ম্যাচের নিষ্পত্তি ঘটে।
ছবি গুলি তুলেছেন – শান্তনু বিশ্বাস।