দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ আগামী লোকসভা নির্বাচনের আগে প্রদেশ কংগ্রেসে বড় ভাঙন দেখা দিল। মালদা উত্তরের কংগ্রেস সাংসদ মৌসম বেনজির নূর যোগ দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসে। সোমবার তিনি নবান্নে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। সোমবারই তিনি সরকারিভাবে যোগ দেন তৃণমূলে। সূত্রের খবর, মালদা উত্তর থেকেই তাঁকে ভোটে দাঁড় করাতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রথম কোনও কংগ্রেস সাংসদ যোগ দিলেন তূণমূলে। মৌসম বেনজির নূর যে দল ছাড়বেন সে ইঙ্গিত আগেই পাওয়া গিয়েছিল। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, হারের আশঙ্কা থেকেই লোকসভা ভোটের আগে দল বদলে ফেললেন মৌসম বেনজির নুর। নবান্নে এদিন তৃণমূলের তরফে জানানো হয়, মৌসম নূর উত্তরবঙ্গে তৃণমূলের সভায় যোগ দিতে পারেন। তৃণমূলে যোগ দিয়ে মৌসম নূর জানান, ‘২০১৭ সালে বন্যার সময় যেভাবে রাজ্য সরকার দুর্গতদের পাশে দাঁড়িয়েছিল, তাতে রাজ্য সরকার ও তৃণমূলের উপর মালদার মানুষের আস্থা অনেকটাই বেড়েছে। মালদার শ্রমিক আফরাজুলের মৃত্যুর পরও যেভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিবাদের স্বর তুলেছিলেন, যাতে দেশ জুড়ে ঝড় উঠেছিল। সব মিলিয়ে সাধারণ মানুষ আরও এগিয়ে এসেছেন তৃণমূলের পাশে। তাই আমি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে মালদার মানুষের কাছে আরও উন্নয়ন পৌঁছে দিতে চাইছি, কাজ করতে চাইছি।’
রাহুল গান্ধীর কাছের নেত্রী হিসাবে পরিচিত মৌসম নূর দীর্ঘদিন ধরেই কংগ্রেসের জোটপন্থীদের মধ্যে একজন। কিন্তু রাজ্য কংগ্রেস একগুঁয়েমি করে এখনও তৃণমূলের বিরুদ্ধে নিজেদের সুর চড়িয়ে চলেছে। এদিকে জাতীয় রাজনীতিতে ক্রমেই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মনে করা হচ্ছে, বিজেপি বিরোধী শিবিরকে আরও শক্তিশালী করতেই মৌসম এই সিদ্ধান্ত নিলেন। যদিও, সিদ্ধান্তের পর কংগ্রেসের তরফে প্রদীপ ভট্টাচার্য দাবি করেছেন, মৌসমের দল বদলের জন্য কোনও প্রভাবই পড়বে না। রাজনৈতিক মহলের কথায় জোট রাজনীতির অঙ্ক পাল্টে গেল।