নীলাদ্রি ভৌমিক হাবরা:জলাতঙ্ক রোগে আক্রান্ত ছিল গরু,আর সেই গরুর দুধেই তৈরী হয়েছিল সিন্নি,। এমন খবর রটতেই আতঙ্ক তৈরি হয়েছে গোটা গ্রামে। হাসপাতালে জলাতঙ্কের প্রতিষেধক নিতেও ছুটেছেন অনেকে।

ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪পরগনার হাবড়া থানার পৃথিবা পঞ্চায়েতের ঘোষ পাড়া এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে খবর, গত শনিবার ১৭ নভেম্বর বড়ো ঠাকুরের পুজ উপলক্ষে গরুর দুধ দিয়ে সিন্নি তৈরি হয়েছিল ঘোষপাড়ায়। স্থানীয় বাসিন্দারা প্রায় সকলেই খেয়েছিলেন সেই সিন্নি প্রসাদ। পরদিন গ্রামে রটে যায় যে গরুর দুধ দিয়ে সিন্নি তৈরি হয়েছে তার আচরণ নাকি দিনকয়েক ধরেই বেশ অন্যরকম। এক বাসিন্দার কথায়, জলাতঙ্ক রোগ হয়েছিল ওই গরুর। তার দুধের সিন্নি খেয়ে তাই গ্রামবাসীদেরও ওই রোগ হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।শনিবার হাবড়া জেনারেল হাসপাতালে ভিড় জমান গ্রামবাসীরা। প্রতিষেধক নিতে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। গ্রামের বাসিন্দা সুজয় ঘোষ, বিমল ঘোষ, শুভ্র ঘোষ সকলেরই দাবি জলাতঙ্কের আশঙ্কায় ভুগছে গোটা গ্রাম। পুজোর দিন গ্রামের প্রায় সকলেই সিন্নি খেয়েছিলেন। তাই সকলেই আতঙ্কিত।

তবে, আতঙ্কের কিছু নেই বলেই গ্রামবাসীদের আশ্বস্ত করেছেন হাসপাতাল সুপার শঙ্কর ঘোষ। তিনি জানিয়েছেন প্রয়োজনে সরকারি ক্যাম্প করার ব্যবস্থা হয়েছে। তাঁর কথায়, “গরুর লালা যদি দুধে মিশত তাহলে রোগ ছড়ানোর আশঙ্কা ছিল। সাধারণত জলাতঙ্কের ভাইরাল স্নায়ুর মাধ্যমে বাহিত হয়, এ ক্ষেত্রে গ্রামবাসীরা যেহেতু দুধের সিন্নি খেয়েছেন তাই রোগ ছড়ানোর কোনও আশঙ্কাই নেই।” যে গরুর জলাতঙ্ক হয়েছে বলে ধারণা গ্রামবাসীদের সেই গরুটিকে পরীক্ষা করে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। এ দিকে গ্রামবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক এতটাই বেড়ে গেছে, যে গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধান হাসপাতাল সুপারকে অবিলম্বে স্বাস্থ্য ক্যাম্প করার নির্দেশ দিয়েছেন।অনেকেই এই আতঙ্ক দুর করতে কলকাতায় ছুটেছেন চিকিৎসার সন্ধ্যানে। এক কথায় জলাতঙ্কের আতঙ্কে গোটা গ্রামে তটস্থ৷

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here