আত্মজিৎ চক্রবর্তী: গোবরডাঙ্গা: বিপুল উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে শেষ হলো রবীন্দ্র নাট্য সংস্থা গোবরডাঙ্গার ২০ তম “রাখি বন্ধন উৎসব”। গোবরডাঙ্গায় রবীন্দ্র নাট্য সংস্থা প্রথম রাখি বন্ধন উৎসব শুরু করে ২০০১ সালে। গোবরডাঙ্গার ১নং রেল গেট সংলগ্ন, মনসা তলা মোড়ে, রবীন্দ্র নাট্য সংস্থার শতাধিক শিশু কিশোর পথ চলতি প্রায় তিন হাজার মানুষের হাতে রাখি পরিয়ে দেন এদিন।
অনুষ্ঠান প্রাঙ্গণে সাধারণ মানুষের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। গাড়ি চালক বন্ধু থেকে যাত্রী ও পথ হাঁটা মানুষ সকলকেই যত্ন করে রাখি পড়ায় নাট্য সংস্থার ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা। এই উৎসবের প্রধান আকর্ষণ ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, অনুষ্ঠানের প্রথমেই রবীন্দ্র নাট্য সংস্থার কর্ণধার বিশ্বনাথ ভট্টাচার্য স্বাগত ভাষণ দেন। তিনি বলেন “২৫ বছর ধরে রবীন্দ্র নাট্য সংস্থা যে নাট্য ও সাংস্কৃতিক চর্চা করে চলেছে, রাখি বন্ধন উৎসব তার মধ্যে অন্যতম। এই উৎসব টানা ২০ বছর ধরে রবীন্দ্র নাট্য সংস্থা করে চলেছে।”
অনুষ্ঠানে রাখি বন্ধনের তাৎপর্য ও গুরুত্ব ব্যাখ্যা করেন প্রাবন্ধিক পলাশ মণ্ডল। তিনি অতীতে রাখি বন্ধন উৎসবের সূচনা ও রবীন্দ্র যুগে রাখি উৎসবের প্রেক্ষিত বর্ণনা করেন। বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক মলয় দাস, সংস্থার সম্পাদক প্রদীপ ভট্টাচার্য ও যুব ব্যাম সমিতির সভাপতি প্রবীর মাজমদার৷ প্রবীর বাবু বলেন গোবরডাঙ্গার “রবীন্দ্র নাট্য সংস্থা ধারাবাহিক ভাবে বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড করে থাকে।” অনুষ্ঠানে আবৃত্তি পরিবেশন করে আলোকবর্তিকা ভট্টাচার্য, আইভি সান্যাল, রুমা সাহা, সাধনা মজুমদার, অতনু রায়। সংগীত পরিবেশন করেন সৃজিতা মজুমদার। রবীন্দ্র নাট্য সংস্থার নৃত্য শিল্পীরা তিথি রায়, শর্মিষ্ঠা রায়, রুমকি দে এবং স্মৃতি চক্রবর্তী অসাধারণ নৃত্য পরিবেশন করেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গোবরডাঙ্গা পৌরসভার পৌর প্রশাসক মন্ডলীর অন্যতম সদস্য শঙ্কর দত্ত। সমগ্র অনুষ্ঠানটি কথায় কবিতায় ভরিয়ে তোলেন প্রদীপ ভট্টাচার্য।