দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ তিনি বীরভূমের শেষ কথা! অনেকে বলেন বকলমে তিনিই বীরভূমের এসপি, তিনিই ডিএম! সেই অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধেই বিস্ফোরণ ঘটালেন রাজ্যের গ্রন্থাগারমন্ত্রী তথা জমিয়েত উলেমা হিন্দ নেতা সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। তাও আবার বীরভূমে দাঁড়িয়েই।
শুক্রবার বীরভূমের যাত্রা মাদ্রাসায় জমিয়েতের একটি কর্মসূচি যোগ দিয়েছিলেন সিদ্দিকুল্লা। কর্মসূচি শেষে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে অনুব্রতর বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মন্ত্রিসভার অন্যতম সদস্য।
পঞ্চায়েত নির্বাচনে গায়ের জোরে ভোট করা, আগাম প্রার্থী ঘোষণা নিয়ে কেষ্ট মণ্ডলকে চোখাচোখা বাক্যে আক্রমণ শানান এই সংখ্যালঘু নেতা। তিনি বলেন, “পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় আমি মুখ্যমন্ত্রীকে বলেছিলাম, রাজ্যজুড়ে এত কাজ হয়েছে, উন্নয়নের নিরিখে ভোট হবে। এখানে চড়াম চড়াম আর মশারী টাঙানোর কোন প্রয়োজন নেই।” তাঁর কথায়, “বীরভূমের ওই নেতা পথ দেখিয়েছিলেন কী ভাবে নির্বাচন করতে হয় এবং কী ভাবে জিততে হয়। এই আস্ফলন খুব মারাত্মক।”
এখানেই থামেননি সিদ্দিকুল্লা। অনুব্রতর উদ্দেশে হুঁশিয়ারি ছুড়ে দিয়ে বলেন, “জমানা বদলাচ্ছে। জনগণের মধ্যে পরিবর্তনের মনোভাব তৈরি হচ্ছে। মানুষ জবাব চাইলে পালানোর পথ পাবেন না।”
সম্প্রতি রামপুরহাট এবং সাঁইথিয়ায় কর্মীসভা করতে গিয়ে দুই কেন্দ্রে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে দিয়েছেন অনুব্রত। বলেছেন ফের আশিষ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং নীলাবতী সাহা প্রার্থী হবেন। এ নিয়েও অনুব্রতর বিরুদ্ধে তোপ দাগেন সিদ্দিকুল্লা। তিনি বলেন, “এখন আবার দেখছি প্রার্থী ঘোষণা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী, প্রশান্ত কিশোর, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সি আছেন।
তাঁরা তো সবাই ভাল কাজ করছেন। সময় হলে তাঁরাই বলবেন। এসব করে দলের মধ্যে একটা অন্তর্দ্বন্দ্ব ও গৃহযুদ্ধ লাগানোর চেষ্টা করছেন তিনি। কে প্রার্থী হবেন কি হবেন না। কে টিকিট পাবেন, উনি কে এই সমস্ত বলার।”
বীরভূম লোকসভার মধ্যে পড়ে পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রাম, আউশগ্রাম, মঙ্গলকোট। সেখানকার সাংগঠনিক দায়িত্বে রয়েছেন অনুব্রত। সিদ্দিককুল্লা বলেন, বর্ধমানের তিন এলাকাতেও এখানকার নেতা ক্যানসার তৈরি করেছেন। দলকে বলবো শক্ত হাতে ধরুক। চাবুক মারুক পিঠে।”
যদিও মন্ত্রী তথা মঙ্গলকোটের বিধায়ক সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীকে কোনও গুরুত্ব দিতে নারাজ বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তিনি বলেন, “আমার কাছে ওঁর কোনও গুরুত্ব নেই।”