দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ ২০০২ সালে গুজরাত দাঙ্গায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ক্লিনচিট দিল নানাবতী-মেহতা কমিশন। বুধবার গুজরাত সরকার সেই রিপোর্ট বিধানসভায় পেশ করে। তাতে বলা হয়েছে, গোধরা পরবর্তী দাঙ্গা পূর্ব-পরিকল্পিত ছিল না। গোলমাল থামাতে প্রশাসন যথাসাধ্য চেষ্টা করেছিল। ওই রিপোর্টে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ক্লিনচিট দেওয়া হয়েছে।
গোধরায় ট্রেনে আগুন লেগে ৫৯ জন করসেবক মারা যান। তারপরে গুজরাতে দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ে। রাজ্যে ১ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হন। কমিশনের রিপোর্টে বলা হয়েছে, পুলিশ উত্তেজিত জনতাকে সামলাতে পারেনি। অনেক জায়গায় পুলিশ জনতাকে থামাতে আগ্রহও দেখায়নি।
প্রাক্তন আইপিএস অফিসার আর বি শ্রীকুমার জনস্বার্থের মামলা করে আর্জি জানিয়েছিলেন, নানাবতী কমিশনের রিপোর্ট প্রকাশ করার জন্য রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দেওয়া হোক। গত সেপ্টেম্বর মাসে গুজরাত সরকার হাইকোর্টে জানায়, বিধানসভার পরবর্তী অধিবেশনে নানাবতী কমিশনের রিপোর্ট পেশ করা হবে।
গুজরাত দাঙ্গার মধ্যেই ২০০২ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি গুজরাতের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গোধরায় ট্রেনে অগ্নিকাণ্ড ও তার পরবর্তী দাঙ্গা নিয়ে তদন্তের জন্য কমিশন গঠন করেন। তখন কমিশনে একজনই সদস্য ছিলেন। তিনি হলেন বিচারপতি জি টি নানাবতী। পরে হাইকোর্টের বিচারপতি কে জি শাহকে ওই কমিশনের সদস্য করা হয়। তিনি কিছুদিনের মধ্যে মারা যান। তাঁর বদলে নেওয়া হয় বিচারপতি এ কে মেহতাকে।
দাঙ্গার সময় মুখ্যমন্ত্রী, অন্যান্য মন্ত্রী ও পুলিশ অফিসাররা কী ভূমিকা পালন করেছিলেন, তা নিয়ে তদন্ত করার অধিকার দেওয়া হয় কমিশনকে। রিপোর্ট পেশ করার জন্য কমিশনকে সময় দেওয়া হয়েছিল ছ’মাস। পরে বহুবার তার মেয়াদ বাড়ানো হয়। শেষ পর্যন্ত ২০০৯ সালে কমিশন রিপোর্টের প্রথম অংশ পেশ করে। চূড়ান্ত রিপোর্ট পেশ করে ২০১৪ সালে।