দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ আমপানের ঘা কবে শুকোবে, তার ঠিক নেই। এর মধ্যেই নতুন করে ঘূর্ণিঝড়ের গুজবে কাঁটা বিদ্ধ বাংলার মানুষ। সন্ত্রস্ত মানুষকে আশ্বস্ত করে আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, আগামী ১০ দিনের মধ্যে বঙ্গোপসাগরে নতুন কোনও ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা নেই। আগামী ৭২ ঘণ্টায় উত্তরবঙ্গের পাঁচ জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে কোথাওই ঝড়ের আভাস নেই। দক্ষিণবঙ্গে কালবৈশাখীর আশঙ্কাও কিছুটা কম। নেই তাপপ্রবাহের ইঙ্গিতও।
বিপত্তি বেড়েছে ঘূর্ণিঝড়ের নামের নতুন তালিকা নিয়ে। ২০০৪ সাল থেকে শুরু হওয়া ঘূর্ণিঝড়ের নামের তালিকা আমপানেই শেষ হয়েছে। কিছু দিন আগে মৌসম ভবন ১৬৯টি নামের নতুন তালিকা প্রকাশ করে। যার প্রথম তিনটি নাম নিসর্গ, গতি, নিভার। যথাক্রমে বাংলাদেশ, ভারত, ইরানের দেওয়া। বঙ্গোপসাগর বা আরব সাগরে পরবর্তী ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হলেই তার নাম হবে নিসর্গ।
তবে সেই ঝড় বাংলাতেই আসবে, এরকম নয়। আগামী ১০দিনের মধ্যে তেমন কোনও ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির সম্ভাবনা অন্তত বঙ্গোপসাগরে নেই। জুনের শুরুতে আরব সাগরে একটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে। তার হাত ধরে কেরালায় বর্ষা আগমনের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে মনে করছেন আবহবিদরা। সেটিও ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে কি না, তার কোনও ইঙ্গিত নেই আপাতত।
বুধবার আমপান চলে যাওয়ার পর ৪ দিন কেটে গেলেও এখনও গরমের দাপট সে ভাবে বাড়েনি। কলকাতার তাপমাত্রা রয়েছে ৩৩-৩৪ ডিগ্রির আশপাশে। রবিবার সকাল থেকেই জোরে বাতাস বইছিল। তাতে গুজবে ঘি পড়ে। আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে জোরে বাতাস বয়ে যাওয়ার পরিস্থিতি অনুকূল। এতে কলকাতায় গরমের অনুভূতি খানিকটা কম থাকতে পারে। মূল প্রভাব পড়বে উত্তরবঙ্গ ও উত্তর-পূর্ব ভারতে।
জোলো বাতাস পাহাড়ে ধাক্কা খেয়ে বৃষ্টি নামাবে। অন্তত ৭২ ঘণ্টা এই পর্ব চলতে পারে। জলীয় বাষ্প যেহেতু উত্তরে সরছে, তাই দিনকয়েক দক্ষিণবঙ্গে কালবৈশাখীর সম্ভাবনাও কিছুটা কম। তবে এখনই প্রবল গরম পড়বে না। যদিও উত্তর-পশ্চিম, মধ্য ও পশ্চিম ভারতে তীব্র তাপপ্রবাহ চলছে। এ দিন রাজস্থানের চুরু ছিল দেশের উষ্ণতম স্থান। তাপমাত্রা উঠে যায় ৪৭.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। নাগপুরের তাপমাত্রা পৌঁছেছে ৪৬.৭ ডিগ্রিতে, নয়াদিল্লির পালামে ৪৫.৪ ডিগ্রিতে। গরম অসহনীয় হলেও, ভালো বর্ষার জন্য রাজস্থান ও লাগোয়া পাকিস্তানে ‘হিট লো’ তৈরি হওয়া জরুরি, বলছেন আবহবিদরা। এপ্রিল-মে-র শুরুেত গরম কম থাকলেও, গত এক সপ্তাহে ক্রমেই আসল চেহারা ফুটে উঠছে গ্রীষ্মের।