মৌ বিশ্বাস,গাঁড়াপোতা: বনগাঁ মহাকুমার ছোট্ট একটি নাট্যপ্রেমী গ্রাম গাঁড়াপোতা। দীর্ঘ ২০ বছর ধরে প্রতি বছরের ন্যায় এবারো ৩ দিন ব্যপি আয়োজিত হয়েছিল গাঁড়াপোতা ‘শপ্তক’ পরিচালিত এক বিরাট নাট্যমেলা। গত ২৮ শে ডীসেম্বর থেকে ৩০ শে ডীসেম্বর পর্যন্ত চলেছিল এই উৎসব। নাট্যমেলার উদ্বোধন করেন আভিজ্ঞ নাট্যকর্মী ও নাট্যপরিচালক বিমল চক্রবর্তী এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন ‘পশ্চিমবঙ্গ নাট্যএকাডেমী’র সদস্যা অভিনেত্রী সীমা মুখোপাধ্যায়ের।

২৮ ডীসেম্বর নাট্যমেলার শভ সূচনা হয় ‘তখন বিকাল’ নাটক দিয়ে,প্রযোজনায় “রঙরূপ” (কলকাতা) ও দ্বিতীয় নাটক ‘শপ্তক’ প্রযোজিত ,বিধায়ক ভট্টাচার্য এর নাটক ‘তাহার নামটি রঞ্জনা’। ২৯ শে ডীসেম্বর প্রথম নাটক ‘দক্ষিণেশ্বর কোমল গান্ধার’ প্রযোজিত ‘বোধোদয়’ ও দ্বিতীয় নাটক ‘উত্তরপাড়া ইউনিট থিয়েটার’ এর প্রযোজিত ‘আমাদের এই ঘরটি’ নাটক দুটি দর্শকদের মুগ্ধ করে। ৩০ শে ডিসেম্বর অর্থাৎ শেষ দিনের প্রথম নাটক ছিল ‘শান্তিপুর সংস্কৃতিক’ এর কৌশিক চট্টোপাধ্যায় নির্দেশিত নাটক ‘গুলি’। তিন দিনের এই নাট্যমেলার শেষ দিনের শেষ নাটক গাঁড়াপোতা ‘শপ্তক’ এর ছোটদের নিবেদন লীলা মজুমদার এর নাটক ‘নোহর বিপত্তি’। এই নাটকের ‘দামু’ চরিত্রে নীলর্থক ও ‘নোহ’ চরিত্রে অনিরুদ্ধ ও রীনা দাস দর্শকদের কাছে দারুণভাবে প্রশংসিত হয়। মেলা শুরু হতো প্রতিদিন সন্ধ্যা ৫:৩০ মি। প্রথম দিন থেকেই নাট্যেপ্রমী দর্শকের ভীড় ছিল দেখার মতো।

এছাড়াও এই নাট্যোৎসব এ প্রতিদিন সকাল ১০ থেকে আন্ত:বিদ্যালয় প্রতিযোগিতা চলে এবং এলাকার বিভিন্ন বিদ্যালয় গুলি অংশ গ্রহণ করে। এই প্রতিযোগিতায়

প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকার করে যথাক্রমে বনগাঁ কুমুদিনী বালিকা বিদ্যালয়, চাঁদপাড়া বানী বিদ্যা বিথী উচ্চ বিদ্যালয় ও সিদ্রানী সাবিত্রী উচ্চ বিদ্যালয়।

ছবি তুলেছেন রতন সিনহা৷

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here