দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃভোটপ্রচারে গিয়ে আবারও তৃণমূলত্যাগীদের বিরুদ্ধে ঝাঁঝালো আক্রমণ শানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুভেন্দু অধিকারী, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়দের নাম না করে এদিন এগরার সভায় তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, ‘অনেক অন্ধ ভালোবাসা দিয়েছি। তার বিনিময়ে ওঁরা যা আমায় দিয়েছেন, তাতে ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে জবাব দেব। যারা গদ্দার, মীরজাফর, তারা এখন বিজেপি প্রার্থী। আর বিজেপি-র পুরনো লোকেরা ঘরে বসে কাঁদছে।’ বিজেপি-কে টার্গেট করে মমতা বলেছেন, ‘লুঠ-দাঙ্গা-মানুষ খুন, বিজেপি-র তিনটি গুণ।’
বিজেপি-র প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর জেলায় জেলায় বিক্ষোভের ছবি দেখা গিয়েছে। কোথাও কোথাও পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ চেহারা নিয়েছে। শুক্রবার পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার সভা থেকে তাই নিয়েই গেরুয়া শিবিরের উদ্দেশে খোঁচা দিতে চাইলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন মমতা বলেন, “সিপিএমের হার্মাদ আর তৃণমূলের কিছু লোক গিয়ে এখন বিজেপিতে ছড়ি ঘোরাচ্ছে। বিজেপির যারা পুরনো লোক এখন তারা ঘরে বসে কাঁদছে।” তিনি আরও বলেন, “কিছু গদ্দারকে অন্ধের মতো ভালবেসে বিশ্বাস করেছিলাম। তারপর তারা বেইমানি করল। এই বেইমানি আর হবে না।”
বুধবার ইস্তেহার প্রকাশ করতে গিয়ে বামেদের ভোট চেয়েছিলেন দিদি। বলেছিলেন, “যে বামপন্থীরা নো ভোট টু বিজেপি বলছেন তাঁদের অভিনন্দন। তারা তো ক্ষমতায় আসবে না। তাই বামপন্থী বন্দুদের বলব ভোটটা তৃণমূলকে দিন।” অনেকের মতে, এদিন সেই একই কায়দায় বিক্ষুব্ধ বিজেপির ভোট পেতে চাইলেন তৃণমূল নেত্রী।
গতকাল বিজেপি যে শতাধিক প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে তাতে অনেক বিদায়ী বিধায়ক রয়েছেন। এঁদের বেশির ভাগই তৃণমূলের টিকিটে জিতেছিলেন ষোলর ভোটে। কেউ কেউ উনিশের লোকসভার পর আবার কেউ এই সেদিন বিজেপিতে যোগ দেন। টিকিট পেয়েছেন শীলভদ্র দত্ত, সৈকত পাঁজা, অরিন্দম ভট্টাচার্য, শুভ্রাংশু রায়রা। এদিন এই নব্য বিজেপিদেরই নিশানা করতে চেয়েছেন মমতা।
যদিও এক প্রবীণ কংগ্রেস নেতা বলেন, “২০১১ সালের পর থেকে ঠিক এ ভাবেই মমতা বাম-কংগ্রেস ভাঙিয়ে নিজের দলে শামিল করিয়েছিলেন। তখন এই নীতিকথা কোথায় ছিল?” বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু বলেন, “গত ১০ বছর ধরে তৃণমূলের কর্মীরা কেঁদে ভাসিয়ে দিচ্ছেন। বাংলার মানুষ কাঁদছে। দিদিমণিকে বিজেপি নিয়ে ভাবতে হবে না। উনি বরং ভাবুন ২ মে-র পর ওঁর দলের সাইনবোর্ড ধরার মতো কেউ থাকবে কি না!”