কেন্দ্রীয় সরকারি পদে ইস্তফা! শুভেন্দুকে নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে

0
2423

দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ দুই মাস যেতে না যেতেই কেন্দ্রীয় সরকারের জুট কর্পোরেশনের অস্থায়ী চেয়ারম্যানের পদ থেকে ইস্তফা দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপি-তে যোগ দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্যাবিনেট মন্ত্রীর সমতুল্য পদে বসানো হয়েছিল নন্দীগ্রামের প্রাক্তন বিধায়ককে। এবার সেই পদে শুভেন্দুর ইস্তফায় বঙ্গ রাজনীতির অন্দরমহলে নয়া জল্পনা।

একাধিক দফতরের মন্ত্রীত্ব, একাধিক বোর্ডের চেয়ারম্যান পদ, এমনকী বিধায়ক পদেও ইস্তফা দিয়ে পুরনো দলের সঙ্গে সম্পর্কের শেষ সুতোটুকুও ছিঁড়ে পদ্মশিবিরে সামিল হয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। যোগদানের সভাতে দাঁড়িয়েই বাংলার রাজনীতির এই দুঁদে নেতা দাবি করেছিলেন, কোনও পদের লোভে তিনি বিজেপিতে আসেননি এতেই প্রমাণিত। দল তাঁকে পতাকা লাগানোর কাজ দিলেও তিনি করতে রাজি। এহেন ‘নির্লোভ’ নেতাকে যোগদানের কয়েকদিনের মধ্যেই ক্যাবিনেট মন্ত্রীর সমতুল্য মর্যাদা সম্পন্ন জুট কর্পোরেশনের অস্থাযী চেয়ারম্যান পদের দায়িত্ব দেওয়া হয় তাঁকে। কিন্তু এদিন ওই পদে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর ইস্তফা পত্র প্রকাশ্যে আসতে নতুন করে জল্পনা তৈরি হয়। ইস্তফাপত্রে শুভেন্দু লিখেছেন, ‘এই মুহূর্ত থেকে কেন্দ্রীয় বস্ত্র মন্ত্রকের জুট কর্পোরেশনের অস্থায়ী চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করছি। দয়া করে আমার ইস্তফাপত্র গ্রহণ করবেন।’

বে শুভেন্দুর এমন পদক্ষেপে আঁতকে ওঠার কোনও কারণ নেই। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, কোনও মোহভঙ্গ নয়, বরং আরও বড় লক্ষ্যের জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন নন্দীগ্রামের প্রাক্তন বিধায়ক। ভোটের সূচি জারি হয়ে গিয়েছে বিজেপি’র অন্দরে প্রার্থীপদের তালিকা তৈরির প্রস্তুতি জোরকদমে চলছে। গেরুয়া শিবিরের হয়ে বিধানসভা ভোটে প্রার্থী হতে পারেন শুভেন্দু এ জল্পনা বহুদিন ধরেই চলছে। রাজনৈতিক মহলের দাবি, নির্বাচনের লড়ার প্রস্তুতির প্রথম ধাপই হল জুট কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান পদে ইস্তফা। ভোটে দাঁড়াতে গেলে কোনও সরকারি পদে থাকা যায় না। প্রার্থী তালিকা ঘোষণার ঠিক আগের মুহূর্তে এই ইস্তফা সেই জল্পনাতেই সিলমোহর দিচ্ছে।

এবার প্রশ্ন বিধানসভার ২৯৪ আসনের মধ্যে কোথা থেকে শুভেন্দুকে প্রার্থী করতে পারে বিজে পি। ঘনিষ্ঠ সূত্রে দাবি, নন্দীগ্রাম থেকেই আবারও প্রার্থী হতে পারেন শুভেন্দু। তবে এবার বদলে গিয়েছে দলের রঙ। উল্লেখ্য, নন্দীগ্রামের জনসভায় দাঁড়িয়ে ওই আসন থেকে নিজেই প্রার্থী হওয়ার কথা যেদিন ঘোষণা করেন তৃণমূল সুপ্রিমো, সেদিনই শুভেন্দুর চ্যালেঞ্জ ছিল নন্দীগ্রামে মাননীয়াকে ‘হাফ লাখ’ অর্থাৎ ৫০,০০০ ভোটে হারাতে না পারলে রাজনীতি ছেড়ে দেবেন। জল্পনা মতোই যদি নিজের পুরনো আসন থেকে দাঁড়ান শুভেন্দু সেক্ষেত্রে তৃণমূল সুপ্রিমোর মতো প্রতিপক্ষকে হারাতে লড়াইয়ের রাস্তা মসৃণ হবে না। তাই আপাতত একুশের মহাযুদ্ধে জান-প্রাণ লড়িয়ে দিতে অন্য সব দায়-দায়িত্ব নামিয়ে রাখতে চাইছেন শুভেন্দু।

Previous articleমানসিক ভারসাম্য হারিয়েছেন তৃণমূলের নেতানেত্রীরা , জিতেনকে পাশে নিয়ে তীব্র আক্রমণ শানালেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়
Next articleগুপ্তশত্রুর আক্রমণ থেকে বাঁচতে পারবেন মেষ,ব্যবসায় লাভের মুখ দেখবেন কন্যা পড়ুন রাশিফল

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here